আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে ব্ল্যাকমেইল স্বামীর ! আত্মহত্যার চেষ্টা নববধূর


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 26-11-2023

আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে ব্ল্যাকমেইল স্বামীর ! আত্মহত্যার চেষ্টা নববধূর

উত্তর দিনাজপুরের কর্নজোড়ায় আপত্তিকর ভিডিও  ধারন করে লাগাতার ব্ল্যাকমেইল স্বামীর। অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানা চত্বরেই হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা নববধূর। সাত মাস ধরে পুলিশের দারে দারে  ঘুরেও মেলেনি বিচার। তরুণীর অভিযোগ বছর খানেক আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের মাস তিনেক পর থেকে তরুণী জানতে পারে স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এরপেরই শুরু হয় নির্যাতন।   

করনদিঘি থানায় নালিশেও হয়নি কাজ। উল্টা রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় যেতে বলা হয় তরুণীকে। এরপরেই  লাগাতার স্ত্রীর ভিডিও ভাইরাল করে দেন স্বামী। শনিবার থানায় ডেকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে অপমান করা হয় তরুণীকে। এরপরেই হাতের সিরা কেটে ফেলেন তরুণী। তড়িঘড়ি থানায় ছুটে আসেন পুলিশ কর্তারা। ডাকা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও। 

অভিযোগ স্বামীর অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে স্ত্রী লাগাতার আপত্তি ও বিরোধ করায় এই নির্যাতন করছে স্বামী। ঘটনার অভিযোগ নিয়ে প্রথমে করনদিঘি থানার দারস্থ হয় নির্যাতিতা স্ত্রী। করনদিঘি থানার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় যেতে বলে নির্যাতিতাকে। এই সময়ে ফের স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করার প্রবণতা বেড়ে যায় স্বামীর। নিরুপায় হয়ে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানার দারস্থ হয় ওই গৃহবধূ।

এদিন সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিকরা ওই নির্যাতিতাকে অভিযুক্ত স্বামী ও তার আইনজীবীর সঙ্গে বসে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচোনার জন্য সাইবার ক্রাইম থানায় ডাকে গৃহবধুকে। এদিন বিকাল ৪ টায় কর্নজোড়ায় সাইবার ক্রাইম থানায় নিজের মাকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় গৃহবধূ। কিন্তু  ৬ টার পরেও কেউ আসেনি। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম থানার মহিলা পুলিশ কর্মীরা নির্যাতিতাকে ৬ টার পরে আরও বেশী অপমান করে থানা থেকে চলে যেতে বলেন।

ভৌগলিক অবস্থান গতভাবে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানা রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিস লাইন চত্বরে হওয়ায় ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার ডি,এস,পি ট্রাফিক। খানিকবাদে আসেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার ও করনদিঘি থানার আই,সি পলাশ মহন্ত। ওই রক্তাক্ত তরুণী গৃহবধূর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তারা। পরে তরুণী গৃহবধূর কাউন্সিলিং -এর জন্য ডাকা হয় স্থানীয় এনজিও কর্মীদের। 

হাতের শিরা কেটে ফেলার পরে গৃহবধূর অভিযোগ ছিল তিনি আর পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না। তিনি নিজের সামাজিক সম্মান ফিরে পেতে চান, কিন্তু পুলিশ কোনও ভাবেই সহযোগীতা করছে না  তাকে। গৃহবধূর মায়ের অভিযোগ, সব জায়গায় পয়সা খেয়ে জামাইয়ের পক্ষে হয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তারা সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না। যদিও রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার এদিন ঘটনার পরে বলেন, এটা একটা পারিবারিক সমস্যা৷ আমরা ওই তরুণী গৃহবধূর সঙ্গে আছি। উনি ডিপ্রেশন থেকে এরকম করেছেন। উনি বিচার পাবেন। 


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]