রাজশাহীতে বেড়েছে চালের দাম কমেছে তেল ও সবজির

রাজশাহীতে কমেছে সবজির দাম। তবে বেড়েছে চিকন চালের দাম। গত এক সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজিতে অন্তত দুই টাকা হারে বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এছাড়াও কমেছে সোয়াবিন তেলের দাম। 

শুক্রবার রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজশাহীর লক্ষীপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, ‘প্রতিকেজি মোটা চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহে বেড়েছে চিকন চালের দাম। মোট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। চিকন ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৬ টাকা, নাজির শাহ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৪ টাকা এবং জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা কেজি দরে।

মুদি দোকানদাররা বলেন, প্রতিকেজি সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা কমেছে। এখন রাজশাহীর বাজারে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬৪-১৬৮ টাকা লিটার। তবে দাম বেড়েছে মশুর ডালের। এ ডাল প্রতিকেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে। এছাড়াও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা, ছোলা ৮০-১০০ টাকা ও খেসারী বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা দরে।

নগরীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, বাধাকপি প্রতি পিচ ১০-১৫ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ১০-১৫ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ১৫-৩০ টাকা, সিম ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখো গেছে। সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। এদিকে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে দাবি করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গতকাল প্রতিকেজি পেঁয়াজ রাজশাহীর বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫৫ টাকা দরে। কয়দিন আগে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা দরে।

এছাড়াও দেশি রসুনের দাম কমেছে। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। তবে বড় চাইনা রসুনের দাম বেড়েই চলেছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা এবং বড় আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা দরে।