নির্বাচনের আগেই শুরু হচ্ছে চলতি বাজেট সংশোধন


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 27-01-2024

নির্বাচনের আগেই শুরু হচ্ছে চলতি বাজেট সংশোধন

বড় ধরনের ব্যয় কাটছাঁটের লক্ষ্য নিয়ে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে চলতি বাজেট সংশোধনের কাজ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে ৫২ হাজার কোটি টাকা মূল বাজেট থেকে কমানো হবে। 

পাশাপাশি জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে আনা হবে। কিন্তু অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। 

একইভাবে বাজেটে মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতির হারও সাড়ে ৭ শতাংশের ওপর প্রাক্কলনের প্রস্তাব করা হতে পারে।

এ মুহূর্তে প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্ব কমিয়ে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেওয়া হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য হবে না। 

সংশোধিত কার্যক্রমের হিসাবে প্রথমে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের বাজেট নিয়ে বৈঠক শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে রেল মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সবগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এ বৈঠক শেষ হবে ২৪ ডিসেম্বরে। 

সংশোধিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার: মোট ব্যয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি থেকে কমিয়ে ৭ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। মোট রাজস্ব আয় ৫ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। রাজস্ব আয় কমানো হয়েছে ৩৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। 

এক্ষেত্রে বাজেটে নতুন ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এডিপির আকার ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি থেকে কমে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এডিপি কাটছাঁট করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।

সংশোধিত বাজেটে গাড়ি কেনা, ভূমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে।

সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির দিকে নজর কম থাকবে। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। নানা প্রেক্ষাপটে এটি অর্জন সম্ভব হয়নি। ফলে প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সমন্বয় রেখেই প্রবৃদ্ধি কমিয়ে আনা হচ্ছে। বৈঠকে রেমিট্যান্স কমে যাওয়াকে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসাবে দেখা হয়েছে। এছাড়া সরকারের ঋণের সুদহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কারণ, সুদ পরিশোধে সরকারের অনেক ব্যয় হচ্ছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]