প্রথম বিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর সিঙ্গল মা হিসেবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন টলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী জুন মালিয়া। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন জুন। ২২ বছর বয়সেই প্রথম মা হয়েছিলেন তিনি। প্রথম বিয়েতে একেবারেই সুখী হতে পারেননি অভিনেত্রী এবং এবারের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থীও জুন মালিয়া।
তাঁর প্রথম স্বামী সঞ্জীব মালিয়া উঠতে-বসতে কথা শোনাতেন জুনকে। সারাটাক্ষণই তাঁকে ছোট করতেন। কোনও কিছুতেই উৎসাহ দিতেন না। এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন জুন। জীবনে একাধিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল জুনের। তিনি চিরকালই বিয়েতে বিশ্বাসী। সম্পর্কগুলোর পরিণতি চেয়েছিলেন বরাবরই। নানা কারণে সম্পর্কগুলো ভেঙেছিল তাঁর। শেষে কলকাতাবাসী ব্যবসায়ী সৌরভ চট্টোপাধ্য়ায়ের মধ্যে নিজের মনের মানুষটিকে খুঁজে পেলেন জুন। প্রাইভেট পার্সন তিনি। নিজের এই সম্পর্ককে লালন করেছিলেন অনেকগুলো বছর ধরে। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, পুত্র শিবেন এবং কন্যা শিবাঙ্গিনী প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আর-একটা বিয়ে কিছুতেই করবেন না। তারপর ছেলেমেয়ে বড় হল। ২০১৯ সালে প্রেমিক সৌরভকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন ‘দ্যা গ্রেট মম’ জুন মালিয়া।
‘নীল নির্জনে’, ‘তিন ইয়ারি কথা’র জুনের লাস্যে বিভোর পুরুষমন। কে জয় করলেন তাঁর হৃদয়, সেই সৌরভকে খোঁজা শুরু হল নেটমহলে। জুনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিল না তাঁর কোনও ছবিই। শেষ একজন সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে খুঁজে বের করা হল। তাঁকে নিয়ে খবরও হল ফলাও করে। কিন্তু এ কী! এ কেমন ফ্যাসাদ তৈরি হল। এ তো সেই সৌরভ নন, যাঁকে সবাই মিলে খুঁজছিলেন। সেই সৌরভ চট্টোপাধ্যায় গর্জে উঠলেন। তিনি ফোঁস করে বলে বসেন, “আমি তো জুনকে বিয়ে করছি না।” মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ঘোষণা। তা হলে কি জুন ব্লাফ করলেন?
মোটেই না। মিথ্যাচার করার মতো মানুষ নন জুন। ভুলটা ছিল মানুষেরই। ভুল সৌরভকে সার্চ করা হয়েছিল। যে সৌরভকে জুনের স্বামী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছি, তিনি সেই ব্য়ক্তি নন। তিনি অন্য এক সৌরভ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি পেশায় একজন অধ্যাপক। তিনি বিবাহিত এবং এক পুত্র সন্তানের পিতাও। বিদেশের বাসিন্দা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের প্রসেফর। তাঁর ছবি দিয়ে জুনের সঙ্গে বিয়ের খবর রটতেই রে রে করে উঠলেন প্রফেসর সৌরভ চট্টোপাধ্য়ায়।
জুনের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়ার ফলে সাংসারিক জীবন রসাতলে চলে গিয়েছিল এই মাস্টারমশাইয়ের। তিনি ক্ষিপ্র হয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন, “আমি কিন্তু ভীষণ ধাক্কা খেয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় আমার ছবি ছড়ানো হয়েছে অভিনেত্রী জুন মালিয়ার হবু স্বামী হিসেবে। কেউ আমার থেকে একবারও জানতেই চাইলেন না, আমিই সেই ব্যক্তি কি না। এতে আমার মানহানি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের কাছে আমি ক্রমাগত ছোট হয়েছি। আমাকে নিয়ে সারাক্ষণই মস্করা চলছে। এর আইনি ব্যবস্থা নেব আমি।”