ইউপি চেয়ারম্যানের মুচলেকায়, মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল বেলপুকুর থানা পুলিশ


স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ আরিফুল হক (রুবেল): , আপডেট করা হয়েছে : 08-04-2022

ইউপি চেয়ারম্যানের মুচলেকায়, মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল বেলপুকুর থানা পুলিশ

রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের আগলা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী রেজাউল ও হাফিজুরকে বেলপুকুর থানা পুলিশ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক সেবনকারী না হওয়ার অযুহাত দেখিয়ে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। ছেড়ে দেয়া গ্রেফতারকৃত রেজাউল দূর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের শাহাবাজপুর গ্রামের নিজামের ছেলে। হাফিজুরের বাড়ি রাজশাহীর কাঁঠাখালী থানার চক-কাপাশিয়া এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার আগলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী রেজাউল ও তার সহযোগী হাফিজুরকে গ্রেফতার করে বেলপুকুর থানা পুলিশ। এরপর রেজাউলও তার সহকারী হাফিজুরকে ছাড়াতে থানায় উপস্থিত হন দূর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সম্রাট হোসেন। পরে তিনি মুচলেকা দিয়ে পুলিশের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। 

এ বিষয়ে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেলপুকুর থানার আওতাধীন আগলা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ভাবে  রেজাউল ও হাফিজুর নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে তারা মাদকাসক্ত কি না এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেড় পাঠানো হয়। সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের  সেখানে ডোপটেস্ট করানো হয় কিন্তু তারা কোনো ধরনের মাদকের সাথে জড়িত নয় এই মর্মে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপরে অভিযুক্ত রেজাউল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। এছাড়াও তাদের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডোপটেস্টে করা সহ বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে দূর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সম্রাট হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেলপুকুর পুলিশ ৭ এপ্রিল আনুমানিক ৩টার দিকে মাদকাসক্ত সন্দেহে মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শাহবাজপুর গ্রামের নিজামের ছেলে রেজাউলও তার সহকারী হাফিজুরকে  গ্রেফতার করে। এরপর পুলিশ ডোপটেস্টের কথা বলে। তারা কোথায় ডোপটেস্ট করেছে আমি বিষয়টি অবগত নই। আমি বেলপুকুর থানা পুলিশকে মুচলেকা দিলে তারা রেজাউল ও হাফিজুরকে ছেড়ে দেয়।

রাজশাহীর সময় / এম আর


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]