শবে কদরে যেসব আমল করবেন আর যা করবেন না


ইসলাম ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 28-04-2022

শবে কদরে যেসব আমল করবেন আর যা করবেন না

মহিমান্বিত রাত লাইলাতুল কদর। যা সম্মানীয় ও মর্যাদাপূর্ণ। এ রাত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতে মুহাম্মদির জন্য শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। যা অন্য কোনো নবীর উম্মতদের দেওয়া হয়নি। এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। উম্মতে মুহাম্মদির স্বল্প বয়সের কারণে ইবাদতের ঘাটতি পূরণে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য উপহারস্বরূপ এ রাতের বিশেষ ব্যবস্থা। এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করার মাধ্যমে বান্দা নিজেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগ এবং গোনাহ মাফের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।

হাদিস শরিফে লাইলাতুল কদরে ইবাদত-বন্দেগি করার ফজিলত ও এ রাতের গুরুত্বারোপ করে এর তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে কিয়াম (নফল নামাজ আদায়) করবে, তার অতীতের যাবতীয় গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বোখারি : ১৯০১)। আরেক হাদিসে এসেছে, ‘রমজান মাস এলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেতেন, ‘নিশ্চয়ই রমজান মাস তোমাদের কাছে উপস্থিত হয়েছে। এতে এমন বরকতপূর্ণ রাত আছে, যা হাজার মাসের তুলনায় উত্তম। যে একে সম্মান করবে, সে যেন পুরো কল্যাণকেই সম্মান করল। আর যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে যেন পুরো কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৬৪৪)।

মহিমান্বিত এ রাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যা পালনে বান্দার জন্য অশেষ সওয়াব ও কল্যাণ রয়েছে। যেমন—

১. সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে পবিত্র হয়ে ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

২. মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকাত সালাতুল আওয়াবিন আদায় করা।

৩. কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা।

৪. বেশি বেশি জিকির-আজকার করা।

৫. বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা।

৬. কৃত গোনাহের জন্য কান্নাকাটি করা এবং গোনাহ থেকে মাফ চাওয়া।

৭. কোনো মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

৮. দুস্থদের বেশি বেশি দান-সদকা করা।

৯. মা-বাবা এবং মুরব্বিদের কবর জেয়ারত করা।

১০. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা এবং ভালো কাজ করা।

এ রাতে কিছু বর্জনীয় আমল রয়েছে; যা বর্জনে বান্দার জন্য অশেষ কল্যাণ ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন—

১. হেলা ও অবহেলায় এ রাত কাটিয়ে না দেওয়া।

২. ঘুমিয়ে এ রাত কাটিয়ে না দেওয়া।

৩. আলসেমি করে ইবাদতহীন বসে না থাকা।

৪. মানুষের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ না রাখা।

৫. আতশবাজি ফোটানো যাবে না।

৬. গোল্লা ফোটানো যাবে না।

৭. দলবেঁধে আড্ডাবাজি না করা।

৮. সবাই মিলে চিৎকার-চেঁচামেচি এবং হৈ-হুল্লোড় না করা।

৯. যাবতীয় গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা।

১০. মানুষের প্রতি সুন্দর ও উত্তম আচরণ করা।

রাজশাহীর সময়/এইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]