কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ: আরও ৩জন গ্রেফতার


অনলাইন ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 05-05-2022

কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ:  আরও ৩জন গ্রেফতার

নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাদেরকে শরীয়তপুর ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৫ মে) কারওয়ানবাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং অন্য দুজন সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, নাহিদ হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র আব্দুল কাইয়ূম ও পলাশ, সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র ইরফান, বাংলা বিভাগের ছাত্র ফয়সাল ও ইতিহাস বিভাগের জুনায়েদ ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরা নাহিদ হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয় বলে ডিবি প্রধান জানান।

তারও আগে গত ২৭ এপ্রিল ডিবির পৃথক অভিযানে দুজন গ্রেফতার হয়। তারা হলেন ইমন ও কাইয়ুম। তাদের মধ্যে ইমনকে ঢাকা কলেজ থেকে এবং কাইয়ুমকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে ২২ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর রাতেই হস্তান্তর করা হয় নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে।

২৩ এপ্রিল মকবুলকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক হালদার অর্পিত ঠাকুর। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর ২৪ এপ্রিল প্রথম দিনের রিমান্ড শেষ পুলিশ জানিয়েছিল মকবুল হোসেনের কাছ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে কী পাওয়া গেছে–জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছি।’

তিন দিনের রিমান্ড শেষে ২৭ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক হালদার অর্পিত ঠাকুর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অপরদিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

পরে ২৮ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার শুনানি শেষে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আবার পরের দিন সকাল ১০টার পর থেকে ফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। এছাড়া সংঘর্ষের এ ঘটনায় দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।

ডেলিভারিম্যান নাহিদ নিহতের ঘটনায় বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় হত্যা মামলা করেন। মোরসালিনের ভাই বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে। দুই মামলাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ছাড়াও এ মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।

রাজশাহীর সময় / এম আর


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]