১৭ বছর ধরে 'ঘুমিয়ে' যে সৌদি যুবরাজ


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 09-05-2022

১৭ বছর ধরে 'ঘুমিয়ে' যে সৌদি যুবরাজ

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য! এক বা দুই বছর নয়, টানা ১৭ বছর ধরে কোমায় রয়েছেন সৌদি রাজপরিবারের এক যুবরাজ।

আর কোমায় থাকা মানে একপ্রকার 'ঘুমিয়ে' থাকাই। আর এ কারণে তাকে ‌`স্লিপিং প্রিন্স` বা 'ঘুমন্ত যুবরাজ' বলে অভিহিত করা হয়।

সম্প্রতি প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল নামে ওই যুবরাজের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর দ্য নিউ আরব, মিডল ইস্ট মনিটরের।

এক টুইটার পোস্টে যুবরাজ আল-ওয়ালিদের ওই ছবিটি প্রকাশ করেন সৌদি রাজকুমারী রিমা বিনতে তালাল। এতে 'ঘুমন্ত যুবরাজ'র সুস্থতার জন্য দোয়া চান তিনি। বলেন, 'আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দিক।' ছবিতে তাঁর বাবা খালেদ বিন তালালকেও দেখা গেছে।

বাবা খালেদ বিন তালালও তাঁর সন্তানের জন্য দোয়া করেন। এক টু্ইটার বার্তায় তিনি লেখেন, 'হে আল্লাহ তাঁকে সুস্থ করুন, তাঁকে রক্ষা করুন।' যুবরাজ আল-ওয়ালিদ মূলত ২০০৫ সাল থেকে কোমায় রয়েছেন। সামরিক কলেজে পড়ার সময় এক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এতে মাথায় আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

তার বাবা খালেদ বিন তালাল বিলিয়নিয়ার সৌদি ব্যবসায়িক টাইকুন প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল আল সৌদের ভাই। যুবরাজ আল ওয়ালিদের বাবা এখনও আশা করেন, তাঁর ছেলে একদিন জেগে উঠবেন। এজন্য তিনি লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলতে অস্বীকার করে আসছেন।

কোমায় থাকলেও যুবরাজ আল-ওয়ালিদ মাঝে মাঝেই সাড়া দেন বলে দাবি আত্মীয়-স্বজনদের। ২০২০ সালের অক্টোবরে আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যুবরাজ তালাল নিজের হাত সরিয়ে নিচ্ছেন। এ সময় তাঁর বিছানার পাশে স্বজনরা কথা বলছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালেও এরকম হাত নাড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়।

২০১৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে কয়েক ডজন যুবরাজ, কর্মকর্তা এবং ধনকুবেরকে বন্দি করেন বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটির অভিজাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য তিনি চরম সমালোচনার শিকার হন। ওই অভিযানে তাঁদের ১১ মাস আটক রাখা হয়। এর মধ্যে 'স্লিপিং প্রিন্সে'র বাবা খালেদ বিন তালালও ছিলেন।

রাজশাহীর সময়/জেড


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]