কোঁকড়া চুলের যত্ন নিতে যা যা করণীয়


ফারহানা জেরিন , আপডেট করা হয়েছে : 25-05-2022

কোঁকড়া চুলের যত্ন নিতে যা যা করণীয়

কোঁকড়া চুল স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা রুক্ষ। কারণ এর কিউটিকেলগুলো শক্ত। এই ধরনের চুল আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে বলে রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে থাকে।” গরমকালে আর্দ্র আবহাওয়ায় কোঁকড়া চুল ভালো রাখতে কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনে নি

• আর্দ্রতা রক্ষা করতে চুলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। রুক্ষভাব কমাতে চুলে জেল ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে চুলের আর্দ্রতার পাশাপাশি কোঁকড়াভাবও সুন্দর থাকে। লিভ ইন কন্ডিশনারের পরে জেল ব্যবহার চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

• শিয়া বাটার, তিলের তেল কোঁকড়া চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। এগুলো চুলকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও বাজারে এসপিএফ সমৃদ্ধ নানান রকমের চুলের প্রসাধনী পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘন্টা খানেকের বেশি রোদে থাকা হলে চুল ভালো রাখতে বড় টুপি ব্যবহার করা যায়।

• কোঁকড়া চুল পরিষ্কার রাখতে বার বার ধোয়ার পরিবর্তে পরিষ্কারক ব্যবহার করা যেতে পারে। স্টাইলিং জেলে চুলের মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ঘন কোঁকড়া চুলের ভারী ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।

• চুলে সালফেট মুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন। ঋতুর পরিবর্তনের কারণে চুলে জমে থাকা ঘাম ও তেল দূর করে মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে এই ধরনের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার উপকারী। এতে মাথার ত্বকের পিএইচয়ের মাত্রা বজায় থাকে এবং অ্যালার্জি বা মৌসুমিরোগ বালাই থেকে মাথার ত্বক সুরক্ষিত থাকে।

• সপ্তাহে দুতিনবার কোঁকড়া চুল শ্যাম্পু করা ভালো। এতে মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সুস্থ থাকবে। মাথার ত্বকে কোন ফাঙ্গাস বা ব্যাক্টেরিয়ায় সংক্রমণ দেখা দিলে কিটোকিনাজল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে।

• তাপমাত্রা বাড়ায় কারণে চুল এমনিতেই রুক্ষ হয়ে থাকে। তাই এর মধ্যে আবার তাপীয় যন্ত্রের ব্যবহার আরও ক্ষতি সাধন করে।

• কোঁকড়া চুলের আগা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এর প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করা এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল দেয়।

• চুলে ব্যবহৃত কন্ডিশনার ও স্টাইলিং ক্রিম রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে, এতে মাথার ত্বক আরামে থাকবে ও কিউটিকেলও ভালো থাকবে।

• পিএইচ’য়ের মাত্রা দেখে এবং তুলনামূলক কম অ্যাসিডিক এমন প্রসাধনী চুলে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

• মধু, গমের প্রোটিন, ফ্রুকটোজ, গ্লিসারিন, প্যান্থেনল ইত্যাদি উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার চুলের আর্দ্রতা ও মসৃণভাব বজায় রাখতে সহায়তা করে।

• ব্লিচ করতে যে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় তা চুলের আর্দ্রতা কমিয়ে ফেলে। তাই কোঁকড়া চুলে ব্লিচ বা কৃত্রিম রং না করাই ভালো।

রাজশাহীর সময়/এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]