কুষ্টিয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে কলেজছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 01-06-2022

কুষ্টিয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে কলেজছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মেয়ের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জোরপূর্বক কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় ওই তরুণীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণী কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এ বছর অনার্স সম্পন্ন করেছেন।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তিতাশ (৪০) বরিশাল জেলার বাসিন্দা। তিনি কুমারখালী উপজেলার পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি। মাঝে মাঝেই তিনি নানাবাড়িতে বেড়াতে আসেন।

বুধবার (১ জুন) সকালে সরেজমিন গেলে ওই তরুণীর মা বলেন, স্থানীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতাশসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা ও দড়ি ছিল। তারা এসেই আমাকে বলে, ‘তোর মেয়েকে তিতাশের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। না হলে মেরে ফেলা হবে।’ বিয়েতে রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

তিনি বলেন, এ বিয়ে আমরা মানি না। কিন্তু আমরা খুব ভয়ে আছি।

ওই কলেজছাত্রী বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে থেকেই তিতাশ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওইদিন রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। যে কারণে বাধ্য হয়ে ভয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষর নেওয়ার পর তারা চলে যায়।

ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রায়হান উদ্দিন জানান, দোকান বন্ধ করে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরি। সে সময় রোমান, লাহোরীসহ কয়েকজন আমাকে ডাক দেয়। বাইরে আসা মাত্রই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে একটি রুমে আটকে রাখে। পরে জানতে পারি অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে করে চলে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে রোমান ও লাহোরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পান্টি এলাকার পপি সুপার মার্কেটে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাদের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত তিতাশকে কল করা হলে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীর সময়/এম


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]