ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ৫ রকমের বাদাম দারুণ উপকারী


ফারহানা জেরিন , আপডেট করা হয়েছে : 05-06-2022

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ৫ রকমের বাদাম দারুণ উপকারী

বয়স্করা ছাড়াও বর্তমানে এমন অনেকেই আছেন যারা খুব অল্প বয়সেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে যান। বংশগত কিংবা অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি সচেতনতার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাসের।

নিশ্চয়ই জানেন, ডায়াবেটিস রোগীদের সব ধরণের বাদাম খাওয়ায় নিষেধ রয়েছে। যদিও পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস হলো বাদাম। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিদিন একমুঠো বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

তবে ডায়াবেটিস রোগীদের সব ধরনের বাদাম উপকারী নাও হতে পারে। তাই এই রোগীদের কেবল সেই বাদামগুলো গ্রহণ করতে হবে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিছু বাদাম অন্যগুলোর চেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি উপকারী। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এমন পাঁচটি বাদাম সম্পর্কে বিস্তারিত-

চিনাবাদাম: ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন ২৮ থেকে ৩০টি কাঁচা চিনাবাদাম খেতে পারেন। চিনাবাদাম প্রোটিন ও ফাইবারের একটি বড় উৎস। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি উপকারী। প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে তা কেবল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে না, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাবে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রথম পর্যায়ের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।

হিজলি বাদাম: প্রতিদিন একমুঠ হিজলি বাদাম খেতে পারেন। নিয়মিত হিজলি বাদাম খেলে রক্তচাপ নিচে চলে আসে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে অন্যান্য বাদামের তুলনায় চর্বির পরিমাণ কম। তাছাড়া এটি খেলে রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা বা ওজনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

কাজুবাদাম: ২০১১ সালের এপ্রিলে মেটাবোলিজম জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাজুবাদাম ডায়াবেটিক রোগীদের গ্লুকোজ স্তর পরিচালনা করে। উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে, যাকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি আপনার প্রতিদিনের ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। এক্ষেত্রে লবণমুক্ত কাঁচা কাজু বাদাম বেশি কার্যকরী। রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন।

আখরোট: আখরোটে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি থাকে কিন্তু শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে এটি কোনো ভূমিকা রাখে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট খেলে এক ধরনের পূর্ণতা অনুভব করা যায়। এটি ক্ষুধা হ্রাস করে। নিয়মিত আখরোট খেলে ওজন কমে এবং ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস করে। ভালো ফল পেতে কাঁচা আখরোট খেতে হবে।

পেস্তা বাদাম: ২০১৪ সালে রিভিউ অব ডায়াবেটিক স্টাডিজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পেস্তা বাদাম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও পেস্তা বাদামে রয়েছে প্রচুর অ্যানার্জি। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এতে ফ্যাটও রয়েছে যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা দেবে। তবে লবণযুক্ত পেস্তা বাদাম এড়িয়ে চলা উচিত। ভালো ফল পেতে আপনি প্রতিদিন ফলের সালাদের সঙ্গে ৩০টি পেস্তা বাদাম খেতে পারেন।

রাজশাহীর সময়/এ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]