মহানগরীতে কিশোরী বর্ষাকে নির্যাতনকারী সেই নেতা মইদুল র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার: , আপডেট করা হয়েছে : 15-06-2022

মহানগরীতে কিশোরী বর্ষাকে নির্যাতনকারী সেই নেতা মইদুল র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার
রাজশাহী মহানগরীতে কিশোরী বর্ষাকে (১৭) নির্যাতনকারী সেই নেতা মইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় মহানগরীর হাদির মোড় সংলগ্ন পদ্মার পাড় এলাকার বসতীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময়   শত শত মানষ ভিড় করে অভিযান দেখতে। 
স্থানীয়রা জানায়, মইদুলকে গ্রেফতার! সে তো প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় আমি রাজনৈতিক নেতা আমাকে প্রশাসন গ্রেফতার করবেনা। সে নেতা এটাই তার দাম্ভিকতা।
গ্রেফতার মইদুল ইসলাম, ওই এলাকার মৃত মালেকের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর বোয়ালির রামচন্দ্রপুর পদ্মা পাড়ের বসতীতে হামলা চালিয়ে একই বসতীর মোঃ মুকুল আলীর স্ত্রী জরিনা বেগম (৪২), তার মেয়ে স্কুল ছাত্রী বর্ষাকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। রামেকে বর্ষা (৫০ নং ওয়ার্ডে) বর্ষার মা (৩০ নং) ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে বর্ষা ৪দিন এবং তার মা ৫দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এরপর শনিবার (১১ জুন) বর্ষার খালা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে মহিদুল সহ চারজনকে আসামী করে  বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অবশেষে সেই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় মইদুল ইসলামকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫ এর সদস্যরা। 
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীদের কাছে জানা যায়, মোহিদুল ইসলামের সাথে এলাকার লোকজন তেমন একটা সম্পর্ক রাখেন না। তার দাম্ভিকতা হলো সে বামপন্থি দলের একজন নেতা। আর বর্ষাকে বার বার আঘাতের বিষয়টি অমানবিক বলেও জানান তারা। 
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে মোহিদুলের মেয়ে মনিকা বাড়িতে এসে বর্ষাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বর্ষা তাকে গালি দেয়। একপর্যায়ে মনিকার মা ও বাবা বাড়িতে প্রবেশ করে চুল ধরে ব্যাপক মারপিট করে বর্ষাকে। শুধু তাই নয় তারা চুল ধরেই বর্ষাকে টেনে হিচড়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায় এবং ব্যপক মারপিট করে প্রতিবেশী মেরি নামের এক মহিলার বাড়ির একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে রাখে। ওই সময় স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ  গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ততক্ষনে বর্ষা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
বর্ষার মা জরিনা বলেন, মেয়ের চিৎকারে আমি দৌঁড়ে তাকে বাঁচাতে গেলে তারা আমার পিটে কাঠ ও ইট দ্বারা আঘাত করে। এ সময় আমার বোন রোজিনা সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে তার শরিরের কাপড় ছিড়ে বিবস্ত্র করে মারধর করে। 

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]