সাপাহারে অবৈধভাবে চলছে ২২টি স’মিল!


হাফিজুল হক, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 28-06-2022

সাপাহারে অবৈধভাবে চলছে ২২টি স’মিল!

নওগাঁর সাপাহারে অবৈধভাবে চলছে ২২টি কাঠ ফাঁড়া স’মিল। যত্রতত্র ভাবে গড়ে ওঠা স’মিলগুলোর একটিরও নেই লাইসেন্স এমনকি নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ পত্র। অনুমোদনবিহীন দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে লাইসেন্স বিহীন মিলগুলো। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের পৌনে ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১১টি স’মিল চলছে বিনা লাইসেন্সে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ১১টি স’মিল চলছে অনুমোদন বিহীন।  যার ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষতির প্রভাব পড়ছে। স’মিলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে অনেক সময় উজাড় হচ্ছে বন বিভাগের সরকারি গাছ। যার কারনে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। 

সাপাহার-সরাইগাছী প্রধান সড়কের কোল ঘেঁসে দু’পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসানো হয়েছে এসব স’মিল। শুধু তাই নয় সড়ক ও জনপথের সরকারী জায়গা অবৈধ দখল করে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখার অভিযোগ রয়েছে মিলারদের বিরুদ্ধে। সড়কের পাশে কাঠের গুঁড়িগুলো ফেলে রাখার ফলে যান বহন চলাচলে অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান বিভিন্ন যানবহন চালকেরা। যার ফলে বাড়ছে জনভোগান্তি। শুধু তাই নয়, খড়ি কিনতে বা নামাতে আসা গাড়ীগুলো সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানবহন চলাচলে চরম বিঘ্ন  ঘটছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। আইনানুযায়ী সকাল ৬টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত স’মিল পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও অসাধু মিলাররা রাতের আঁধারে কাঠ ফাঁড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার স’মিল মালিক আব্দুস সালামের ছেলে নিয়ামুল হকের কাছে লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে উগ্রতার সাথে বলেন “ যা লেখার লেখেন। মামলা খেয়ে আছি। জেল খাটি আবার জামিন পাই। এতো তথ্য দেবার সময় নেই।” 

অপরদিকে আরেক মিল মালিক স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমরা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেছে লাইসেন্স পাইনি”।

এবিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “সাপাহার উপজেলায় মোট ২২টি স’মিল আছে। যার মধ্যে একটিরও লাইসেন্স নেই। এছাড়াও এরা লাইসেন্স পাবার মতো যোগ্য না”। 

লাইসেন্স পাবার যোগ্য কেন নয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ফরেষ্ট ল্যান্ডের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এবং আন্তর্জাাতিক সীমানার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে স’মিল থাকলে আইনানুযায়ী কোন ভাবেই লাইসেন্স পাবার যোগ্য নয়”।

এছাড়াও স’মিলের লাইসেন্স করার আগে পরিবেশ সনদ করতে হবে। আর পরিবেশ সনদ ছাড়া মিলাররা কোনপ্রকার লাইসেন্স পাবেন না বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। 

রাজশাহীর সময়/এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]