কোরবানির চামড়া কী করবেন?


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 07-07-2022

কোরবানির চামড়া কী করবেন?

ঈদুল আজহার নামাজের পরপরই বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ পশু কোরবানি করবেন কিন্তু কোরবানির পশুর চামড়া কী করবেন? এ চামড়া ব্যবহার কিংবা বিক্রি করে অর্থ খরচে ইসলামের বিধানই বা কী?

কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। এ প্রসঙ্গে ইসলামে রয়েছে সুন্দর সমাধান। কোরবানি দাতা ইচ্ছা করলেই নিজের কোরবানির পশুর চামড়া নিজেই ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রি করে বা চামড়া বিনিময় করে কসাইয়ের পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে পারবেন কি? এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যবহার

কোরবানিদাতা নিজ কোরবানির পশুর  চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। চামড়া দাবাগাত (প্রক্রিয়া) করে যে কোনো জিনিস তৈরি করে নিজ নিজ প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইসলামে কোনো বাধা নেই। কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবহার সম্পর্কে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

‘তোমরা কোরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে তা (নিজেরে ভোগের জন্য) বিক্রি করে দিও না।’

হাদিসের দিকনির্দেশনা মোতাবেক কোরবানিদাতা নিজ কোরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকার নিতে পারবেন ঠিকই কিন্তু পশুর চামড়া বিক্রি করে সে টাকা নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।

কোরবানির চামড়া বিক্রি

কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা যাবে না মর্মে হাদিসের যে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা মূলত কোরবানিদাতার জন্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনিতে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা যাবে। তবে এর ব্যবহার কোরবানিদাতা করতে পারবে না। এর দ্বারা পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে না। তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতে হবে। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ নিজের কাজে খরচ করাও জায়েজ নেই। এ অর্থ গরিব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করে দিতে হবে। হাদিসের নির্দেশনায় এসেছে-

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি যেন কোরবানির মজুরি বাবদ গোশত বা চামড়া থেকে কসাইকে কোনো কিছু প্রদান না করি।’

কোরবানির পশুর চামড়ার হকদার

যারা জাকাত, ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত তারাই কোরবানির চামড়ার অর্থ পাওয়ার হকদার। তবে এক্ষেত্রে এতিম, গরিব তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা দেওয়া যাবে। তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী যদি এতিম বা গরিব হয় তবে তাকে জাকাত, ফিতরা ও কোরবানির চামড়ার মূল্য দানে বেশি সওয়াব রয়েছে।

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, কোরবানির পশুর চামড়া দাবাগাত (প্রক্রিয়া) করে নিজে ব্যবহার করা উত্তম। তবে তা বিক্রি করলে তার মূল্য নিজের কাজে লাগানো যাবে না। এমনকি চামড়া বা গোশত দ্বারা কসাইয়ের মজুরিও দেওয়া যাবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব কোরবানিদাতাকে চামড়ার ব্যবহারের বিষয়ে হাদিসের দিকনির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। তা বিক্রি করলে তার মূল্য বা অর্থ এতিম, গরিব, মিসকিন ও ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

রাজশাহীর সময়/এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]