ওয়ার্নারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার দাবি সাবেক অধিনায়কের


ক্রীড়া ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 26-07-2022

ওয়ার্নারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার দাবি সাবেক অধিনায়কের

২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরুন ব্যানক্রাফটের সঙ্গে নিষিদ্ধ হন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও। এক বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ওয়ার্নারকে দেওয়া হয় অধিনায়ক হিসেবে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারের দাবি জানিয়েছেন, ওয়ার্নারের ওপর থেকে এই খড়গ তুলে নিতে।

২০১৮ সালের সেই বল টেম্পারিংয়ের ঘটনাকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের জন্য ধরা হয় এক কালো অধ্যায় হিসেবে। তাই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ঘটনার হোতা এই তিন ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ তো করাই হয়, সেই সঙ্গে ক্রিকেট আচরণে বড় পরিবর্তন আনে তারা।

নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনজনই। জাতীয় দলের নিয়মিত জায়গাটাও পুনরুদ্ধার করেছেন স্মিথ-ওয়ার্নার। ফেরার পর নিয়মিত অধিনায়কত্ব আর ফিরে না পেলেও প্যাট কামিন্সের অবর্তমানে নেতৃত্বও দিয়েছেন স্মিথ, কিন্তু ওয়ার্নার সাজা ভোগ করছেন এখনো। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ওয়ার্নার যে আর কখনোই পারবেন না অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কত্ব করতে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক পদে ওয়ার্নারকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। তবে অনেকের মতে এই শাস্তি লঘু পাপে গুরুদণ্ড।

এই অনেকের তালিকায় আছেন অজিদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার ও অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারও। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকে ওয়ার্নারের অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন এই কিংবদন্তি।

সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন বল টেম্পারিং বা বলের বিকৃতি ঘটানো ক্রিকেট মাঠের নিয়মিত ঘটনা। প্রায় সব দলই এই কাজ করে থাকে বলে মন্তব্য তার।

ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এটা একটা বিশ্রী ধরনের শাস্তি। এটা তুলে নেওয়া হোক। তারা তাদের সময়ে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা যেটা ধরতে পেরেছি, অন্য সব দলগুলোও একই কাজ করে। যদি সকল অধিনায়ক তাদের বুকে হাত রেখে বলে -আমি এই ধরনের কিছু করিনি, তাহলে তারা মিথ্যা বলবে। এই ছেলেদের অপরাদের চেয়ে শাস্তির মাত্রা বেশি হয়ে গেছে।'

একই সঙ্গে বোর্ডার রিভার্স সুইং পেতে বল টেম্পারিংকে অপরাধ ভাবতেও নারাজ। তার মতে, একটা সময়ের পর বলের আকারের পরিবর্তন ঘটা বরং ভালো। এটা খেলাটাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে। অন্যথায় খেলাটায় ব্যাটাররা অধিক সুবিধা পায়।

তার ভাষায়, 'আপনি যদি বল হাতে পান, শুধু বলটি স্ক্র্যাচ করেন এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এটির ওপর কাজ করেন এবং এর ফলে আপনি রিভার্স সুইং করতে পারেন -তাহলে সমস্যা কোথায়? এটা একটা খারাপ উপায় নয়, কারণ ফ্ল্যাট উইকেটে আপনার কিছু একটা প্রয়োজন। এর বিপরীত হলে শুধু রানের সংখ্যা বারতেই থাকবে। এখন আমরা কী দেখছি? ফলাফল যেন আসে এমন উইকেট তৈরি করা হচ্ছে, কারণ ফ্ল্যাট উইকেটে ভালো ব্যাতারদের আউট করা কঠিন।'

রাজশাহীর সময়/এম


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]