রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ কাগজ চাওয়ায় মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন যুবক


নিজস্ব প্রতিবেদক , আপডেট করা হয়েছে : 08-08-2022

রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ কাগজ চাওয়ায় মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন যুবক

রাজশাহীতে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন আশিক আলী (৩০) নামে এক যুবক। ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটকে দিয়ে কাগজপত্র চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ২টার দিকে নগরীর কোর্ট হড়গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মোটরসাইকেলটির মালিক আশিক আলী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া হাটুভাঙ্গার মোড় এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আসাদ আলী।

জানা গেছে, কোর্ট হড়গ্রাম বাজারে রুটিন দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী নগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল কাইয়ুম। বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই আরোহীসহ আশিক আলী ওই এলাকা অতিক্রম করছিলেন। চেকপোস্ট তাদের আটকান সার্জেন্ট কাইয়ুম।

সার্জেন্ট কাইয়ুম কাগজপত্র দেখতে চাইলে আপত্তি জানান বাইকচালক আশিক আলী। চাবি নিতে চাইলে তাতেও বাধা দেন তিনি। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন আশিক আলী।

ওই সময় কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় টহল দায়িত্বে ছিলেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মৌসুমী আক্তার। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। মৌসুমী আক্তার জানান, একে তো মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। তার ওপর তাদের কারোরই হেলমেট ছিল না। সঙ্গে মোটরসাইকেলটির কাগজপত্রও ছিল না। 

চেকপোস্টে মোটরসাইকেলটি আটকে মামলা দিতে চেয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। এক পর্যায়ে তাকে কাগজপত্র এনে দেখানোর শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ না নিয়ে নিজেই মোটরসাইকেলে আগুন দেন।

ঘটনাস্থলটি নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের আওতাধীন। আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় রাজপাড়া থানা পুলিশ। এই ঘটনায় মোটরসাইকেলের মালিক আশিক আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নগর ট্রাফিক পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা জানান, ঘটনার পর তারা আশিক আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, এটা নিছক পাগলামী। মোটরসাইকেলটি তার নিজের সম্পদ হলেও তিনি পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দিতে পারেন না। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।  তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি ব্যবসায় মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির শিকার হন আশিক আলী। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা অনির্বান চাকমা।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]