নাটোরে কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যুতে ছাত্র কারাগারে


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 15-08-2022

নাটোরে কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যুতে ছাত্র কারাগারে

নাটোরে কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় আটক স্বামী মামুন হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৫ আগস্ট) তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে দেখছে পুলিশ।

রোববার সকালে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে খায়রুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মামুনকে আটক করে পুলিশ। ওইদিন দুপুরে সিআইডির সুরতহালের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। রাতে গুরুদাসপুরের তাঁর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় খায়রুনের চাচাতো ভাই সাবের হোসেন রাতেই নাটোর সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামুন ঘটনার রাতে বাসা থেকে ২টা ১৭ মিনিটে বের হন। পরে রাত ৩টার দিকে বাসা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে জেলা কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষিকা খায়রুনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য মামুনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এ মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে জেলা পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। সঙ্গে আছে র‌্যাব, পিবিআই ও সিআইডি ক্রাইম সেল। তিনি বলেন, তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করছেন।

মামুনকে নির্দোষ দাবি করেছেন তাঁর মা রাবেয়া বেগম। ছেলের মুক্তি চেয়ে তিনি বলেন, ‘মামুন কোনো দোষ করেনি।’ প্রতিবেশী আসমা বেগম বলেন, ‘মামুন ভালো ছেলে। সে খায়রুনকে ভালোবাসত। কদিন আগেও তাঁরা (মামুন ও খায়রুন) বাড়িতে এসে ঘুরে গেছেন। কী থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’

গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ৪১ বছরের খায়রুন শহরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ২৩ বছরের মামুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। এ বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অসম বিয়ে বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী ও স্বজনরা ভালোভাবে নেননি। নানা মন্তব্য থেকে রেহাই পেতে তাঁরা শহরের বলারিপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]