রাবিতে পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতি


আল্-মারুফ, রাবি প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 25-08-2022

রাবিতে পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতি

পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটানোর অভিযোগ করে উর্দু বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। ফলাফলে  অসঙ্গতি রয়েছে দাবি করে উক্ত বিভাগের ওই বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগের অফিস, সেমিনার রুম, ক্লাসরুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করে এবং বিভাগের সামনে বসে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকে।

এসময়ে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান বিভাগে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হলে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর তারেক নূর উপস্থিত হন। তিনি অফিসের তালা খুলে বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বসে কথা বলেন এবং অভিযোগগুলো শোনেন। শিক্ষার্থীরা তখন পরীক্ষার ফলাফল ও বিভাগের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেন। তারা কতিপয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ করেন।

এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, 'এপ্রিল মাসে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। এতো দেরি করে আজকে রেজাল্ট হলো। ৩৮ জনের মধ্যে জিপিএ ৩ এর উপরে মাত্র ৩ জন, ৮ জন ফেল করেছে। রেজাল্টও বের হলো, এই আর আজকেই এই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি-সদস্য নাকি ইন্ডিয়া চলে গেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে রেজাল্টে দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানি করে আসছিল। আমরা আর তাদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।'

এবিষয়ে উক্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে জানা যায়, তিনি আজকে ভারত চলে গেছেন। 

এ নিয়ে বিভাগের শিক্ষক (উক্ত পরীক্ষার কমিটির সদস্য) ড. মোঃ মোকাররম হোসেন মন্ডল বলেন, 'ফলাফল একটু খারাপ হয়েছে, আশানুরূপ হয়নি সত্যি। তবে এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়নি।'

বিভাগের সভাপতি বলেন, 'আমি ওদের একটা কোর্স  নিয়েছি। ওরা ভালো লিখেছে, রেসাল্ট ওমন হওয়ার কথা নয়। ওদের ১ম সেমিস্টারের রেসাল্টের তুলনা করলে কোথাও কোনো একটা অসঙ্গতি হতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে অসঙ্গতি প্রমাণ হলে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, 'আমি অভিযোগ শুনলাম। কিছুটা অসঙ্গতি মনে হচ্ছে। রবিবার আমরা বসবো, ওদেরও (শিক্ষার্থী) ডেকেছি। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো।

উল্লেখ্য, উক্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল এপ্রিল মাসে এবং কমিটির সভাপতি ছিলেন  বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ নাসির উদ্দিন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]