সিজিপিএ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে রামেক শিক্ষার্থীরা


মঈন উদ্দীন , আপডেট করা হয়েছে : 07-09-2022

সিজিপিএ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে রামেক শিক্ষার্থীরা

ক্যারি অন বহাল রেখে সিজিপিএ বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) শিক্ষার্থীরা। সিজিপিএ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন তারা। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন রামেকের এমবিবিএস ৬৩ ও বিএডিসি ৩৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘ক্যারি অন বাহাল চাই, সিজিপিএ বাতিল চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২১-২০২২ সেশনে হঠাৎ করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল (বিএমডি)-এর ক্যারি অন বাতিল করে সিজিপিএ চালু করেছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন শিক্ষার্থী কোনো সাবজেক্টে ফেল করলে পরবর্তী বর্ষে যেতে পারবে না। তাকে ওই সাবজেক্ট পাস করে বর্ষ পরিবর্তন করতে হবে। সিজিপিএ চালু থাকলে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হবে যার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা বৈষম্য সৃষ্টি হবে এবং রেজাল্ট ভালো করার জন্য এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা সৃষ্টি হবে।

আবির হাসান, হাসিব, চৈতি, সিমুসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, গ্রেডিং পদ্ধতির কারণে পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসা পেশা শুরু করতেও দেরি হবে। একই সঙ্গে এ, বি ও সি গ্রেড করে ফলাফল ঘোষণা করায় চিকিৎসকদের মধ্যেও বিভেদ তৈরি হবে। এ জন্য গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিল করে দ্রুত ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এছাড়া মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট বিভিন্ন গ্রেডে ভাগ করা হবে। এছাড়া কোনো বর্ষে একটি বিষয়ে ফেল করলে অন্য বর্ষে ওঠা যাবেনা। যা ক্যারিঅন কার্যক্রমে ছিলোনা। এতে করে ভবিষ্যত চিকিৎসকদের মাঝে সামাজিক বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ বাতিল কর ক্যারিঅন পুনরায় চালু করার দাবি করেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা একটু বিপাকেই পড়বে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটি অবশ্যই যৌতিক কারণ রয়েছে। শিক্ষার্থী না বুঝেই এই আন্দোলন করছে। নতুন এই কারিকুলামে তাদের কোনো অসুবিধা হবে না। এছাড়া সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সিজিপিএ চালু হয়েছে। সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবে বলে জানান রামেক অধ্যক্ষ।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]