মতিহারে বখাটে গ্রেফতার


নিজস্ব প্রতিবেদক , আপডেট করা হয়েছে : 12-09-2022

মতিহারে বখাটে গ্রেফতার

প্রেমের প্রস্তাব ও কু-রুচি পূর্ণ কথা বলে উত্যাক্ত করার অপরাধে মোঃ সিফাত (২৭) নামের এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে মতিহার থানা পুলিশ। 

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় মহানগরীর মতিহার থানার তালাইমারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মতিহার থানার এসআই এসএম আসিফ নাসির ও সঙ্গীয় ফোর্স।

গ্রেফতার বখাটে মোঃ সিফাত মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন বাবার আলী রোড়ের বাসিন্দা মোঃ সাইদুল ইসলামের ছেলে।

ভুক্তভোগী যুবতী সুমাইায়া তাবাসসুম মহানগরীর মতিহার থানাধিন তালাইমারী বালু ঘাট এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত জেবের মিয়ার নাতনী।

ভুক্তভোগী যুবতী সুমাইায়া তাবাসসুম জানায়, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সিফাত সহ কয়েকজন বখাটে আমার ফেসবুক আইডি থেকে নানা ধরনের আশেবাজে কথা লিখে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব ও কু-রুচি পূর্ণ কথা লিখে ফেসবুকে। শুধু তাই নয়, আমাদের বাড়ির কাজের লোকজন ও মাইক্রো চালককেও রাস্তায় ধরে হুমকি দেয় এই তিন বখাটে সহ তার সহযোগীরা। তাদের অত্যাচারে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারিনা। জিবটা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, শখের বসে আমি বাসায় বিভিন্ন ধরনের কেক তৈরী করে আমার ফেসবুক আইডিতে দেই। এতে আমার তৈরী কেক অনেকে পছন্দ করে। বিভিন্ন সময় অর্ডারও পাই। সেই অনুযায়ী কাস্টমারদের কেক ডেলিভারীও দিয়ে থাকি। সেই কেক নিয়েও তারা আজে বাজে মন্তব্য করে। ফলে আমার কাষ্টমারও কমে গেছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় আমার প্রস্তুতকৃত কেকের অর্ডার নেয়ার জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায়, মতিহার থানাধিন তালাইমারী আবুল হোসেনের গোডলিফ কোম্পানীর সামনে পৌছালো বখাটে সিফাতসহ কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরে অশাশিল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। আমি তাদের কথার প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ উদ্দেশ্যে আমার হাতধরে টানাহেচড়া করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে শ্লিলতাহানী ঘটায়। 

আমি আমার পরিবারের সাথে আলাপ করে পরের দিন (৪ সেপ্টেম্বর) মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মতিহার থানার মামলা নং-৩। এইসব বখাটেদের পেছনে কারা? তাদের খুঁজে বের করার দাবি জানান ভুক্তভোগী যুবতী।

জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তুহিন আলী জানান, ভুক্তভোগী যুবতীর কাছে যা জেনেছি তা খুবিই দুঃখ জনক। একটা পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করা। অশালিন মন্তব্য করা জঘন্য অপরাধ। তাছাড়া ভুক্তভোগীরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ। অসৎ উদ্দেশ্যেই অপরাধীরা তাদের পেছনে দীর্ঘদিন ধরে লেগেছিলো বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি। ভুক্তভোগীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (সঃ/০৩) এর ১০/৩০ ধারায় মামলায় আসামী সিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি।  


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]