এএসপি আনিস হত্যা মামলায় ফের পেছাল পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 03-10-2022

এএসপি আনিস হত্যা মামলায় ফের পেছাল পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়

রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পেছানো হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এদিন পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর এ হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে সোমবার (৩ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছিলেন। কারণ, পিবিআই ওইদিনও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

২০২০ সালের ৯ নভেম্বর সিনিয়র এএসপি মো. আনিসুল করিম শিপন রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। ওই সময় হাসপাতালে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার পরদিন আদাবর থানায় মামলা করেন আনিসের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ। এতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি।

আনিসুলের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন: মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে আনিসকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুুপুর পৌনে ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় আনিসকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যান।

ওই সময় আনিসের বোন কথা বলতে চাইলে আরিফ মাহমুদ জয় ও রেদোয়ান সাব্বির বাধা দেন। একপর্যায়ে হাসপাতালের কলাপসিবল গেট আটকে দেয়া হয়। এরপর আসামিরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজন আনিসকে চিকিৎসার কথা বলে দোতলার একটি অবজারভেশন রুমে নিয়ে যান।

পরে ওই রুমের মেঝেতে জোরপূর্বক উপুড় করে শুইয়ে তিন-চারজন হাঁটু গেড়ে আনিসের পিঠের ওপর বসেন। কয়েকজন তার দুই হাত পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধেন। কয়েকজন আসামি কনুই দিয়ে আনিসের ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করেন। পরে আসামিদের মধ্যে একজন আনিসের মাথার ওপর চেপে বসেন ও অন্য সবাই মিলে তার পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারেন। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে আনিস নিস্তেজ হয়ে পড়েন, যা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়।

নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর আসামি আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে আনিসের পরিবারের সদস্যদের ইশারায় ওপরে যেতে বলেন। বাবা, ভাই ও বোন অবজারভেশন রুমে গিয়ে আনিসকে নিস্তেজ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে জরুরি ভিত্তিতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পর্যবেক্ষণের পর আনিসকে মৃত ঘোষণা করেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]