২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০১:০২:০২ পূর্বাহ্ন


লোকজনকে অপমান করে ওয়েবক্য়াম মডেলের আয় মাসে ৭ লাখ
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১০-২০২২
লোকজনকে অপমান করে ওয়েবক্য়াম মডেলের আয় মাসে ৭ লাখ লোকজনকে অপমান করে ওয়েবক্য়াম মডেলের আয় মাসে ৭ লাখ


২৫ বছর বয়সী জেনিফার লাভ। আগে একটি হোটেলে ওয়েট্রেস হিসাবে কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউনের সময় মারাত্মক সমস্য়ায় পড়ে যান তিনি। তখনই তাঁকে এক বন্ধু পরামর্শ দেন পায়ের ছবি বেচে পয়সা উপায় করা যায়। তবে বন্ধুর ওই মজাকেই বাস্তবে পরিণত করেন তিনি।

দুবছর বাদে ১০ সেকেন্ডের জন্য তিনি তাঁর পায়ের ছবি দেখানোর বিনিময়ে ৪০ মার্কিন ডলার চার্জ করেন। ব্য়ক্তিগত তিন মিনিটের ভিডিয়োর জন্য় তাঁর চার্জ ১৫০ মার্কিন ডলার। আর সেই ভিডিয়োতে তিনি মূলত ক্লায়েন্টদের তীব্র অপমান করেন। আর তার বিনিময়ে টাকা দেন ক্লায়েন্টরা। ১০ মিনিটের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ফোনে কথা বলারও ব্যবস্থা রয়েছে। সেটাও আবার টাকারই বিনিময়ে। তিনি এখন ওয়েবক্য়াম মডেল।

জেনিফার জানিয়েছেন, আমাকে অনেকেই বলেন আমি নাকি বিপন্ন মানুষদের কাছ থেকে সুযোগ নিই। আমার নাকি লজ্জা হওয়া দরকার। তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়া উচিত। তবে আমি বলছি আমার কাজের স্বাধীনতায় আমি খুশি।আমি কম সময় কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করি।

তাঁর মতে, ক্লায়েন্টদের মুখ ভেবে ক্যামেরায় থুতু ফেলা এটাই সবথেকে বাজে ব্যাপার। উইকএন্ডে যখন মাতাল হয়ে বাড়়ি ফেরেন লোকজন তখনই জেনিফারের আয় বাড়তে থাকে। মূলত বয়স্ক ব্যবসায়ী ও যুবকরাই তাঁর ক্লায়েন্ট। তবে একবার এক মহিলা ক্লায়েন্টও তিনি পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ক্যামেরার ওধারে একজন মহিলাকে দেখতে ভালো লাগে না।

একটি ওয়েবক্যাম এজেন্সি অফ দ্য রেকর্ডের হয়ে কাজ করেন জেনিফার। তিনি বলেন, যেটা আমার ভালো লাগে না সেটা করি না। মা ভাবতেন আমি ব্রেন সার্জেন হব। তবে আমি খুশি এটা মায়ের কাছে বড় ব্য়াপার। বাবা ব্যাপারটা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তবে আমরা কথাবার্তা বলি। তবে লোকজন বলেন, এখানে নাকি জোর করে আনা হয়। একেবারেই নয়। আমরা এটা এনজয় করি।