২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে স্বাক্ষীর বড় ভাইকে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত
মঈন উদ্দীন, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১০-২০২২
রাজশাহীতে স্বাক্ষীর বড় ভাইকে মসজিদে  নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত ফাইল ফটো


রাজশাহীর বাঘায় হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় আবু ফজল সিদ্দিক তাপস নামে এক ব্যাংক কর্মচারীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর কলিকগ্রামে জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়া অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে।,

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  উপজেলার উত্তর কলিকগ্রামের মনিরুল ইসলাম তার নিজ পিতা আয়েজ উদ্দিনকে ২০১৪ সালে হত্যা করেন। এ হত্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হন একই গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের ছেলে আবু বাশার মোহম্মদ সিদ্দিক শাওন। এ হত্যাটি পারিবারিকভাবে সমঝোতা করে নেওয়া হয়।

কিন্তু এ হত্যার স্বাক্ষী ছিলেন বাজুবাঘা শাখার অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ শাখার কর্মচারী আবু ফজল সিদ্দিক তাপসের ছোট ভাই আবু বাশার মোহম্মদ সিদ্দিক শাওন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলিকগ্রামের জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যায় আবু ফজল সিদ্দিক তাপস। ঈমামের পেছনে ফরজ নামাজ পড়া শুরু করেন। এ সময় মনিরুল ইসলাম মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করেন।

চাকুর আঘাতে আবু ফজল সিদ্দিক তাপসের বাম হাতের কনই এর নিচে ও উপরে এবং ডান হাতের কবজি কেটে যায়। মুসল্লিরা নামাজ বন্ধ করে তাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। পরে মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. রাকেস পান্ডে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত ব্যাংক কর্মচারী আবু ফজল সিদ্দিক তাপসের বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুল বলেন, ৮ বছর আগে নিজ পিতাকে হত্যা করে মনিরুল ইসলাম। এ হত্যার স্বাক্ষী হয়েছিল আমার ছোট ভাই আবু বাশার মোহম্মদ সিদ্দিক শাওন, কিন্তু তাকে না মেরে আমার আরেক ভাই ব্যাংক কর্মচারী আবু ফজল সিদ্দিক তাপসকে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমি এর বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডা. রাকেস পান্ডে বলেন, আবু ফজল সিদ্দিক তাপসের অবস্থা বেগতিক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।