২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন


মুহাম্মাদ (সা.) অতুলনীয় আদর্শের অধিকারী
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১০-২০২২
মুহাম্মাদ (সা.) অতুলনীয় আদর্শের অধিকারী ফাইল ফটো


অতুলনীয় আদর্শের অধিকারী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি মানুষকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মানুষের সংশোধনে উত্তম চরিত্র দেখিয়েছেন। বিশ্ববাসীর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর সুমহান চরিত্রে ঘোষণা দিয়েছেন এভাবে-

وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ

‘নিশ্চয়ই আপনি সচ্চরিত্রের মহান আদর্শের ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত।’ (সুরা আল-কলম : আয়াত ৪)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও হাদিসে পাকে এ ঘোষণা দিয়েছেন এভাবে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি মহৎ গুণাবলীর পূর্ণতা দিতে প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, আদাবুল মুফরাদ ২৭৩)

নবি-রাসুলদের যাবতীয় মহৎ গুণাবলীর সমাবেশ ঘটেছিল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে। ঐশী বাণী পবিত্র আল-কোরআনেরই জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ছিলেন তিনি। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার বক্তব্য থেকে তা সুস্পষ্ট।

সাহাবায়ে কেরাম উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘তোমরা কী কোরআন পাঠ করো না? জেনে রাখো! পুরো কোরআনই হলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্র।’ অর্থাৎ তিনি ছিলেন আল-কোরআনের বাস্তব নমুনা। (মুসনাদ আহমদ)

জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বিধান বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। উদারতার বিরল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন এভাবে-

হজরত উকবা ইবনে আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করো। তোমার প্রতি যে জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। তোমাকে যে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে প্রদান করো।’(মুসনাদ আহমাদ)

এই ছিল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অতুলনীয় আদর্শ। তিনি ছিলেন সততার মূর্তপ্রতীক। জীবনে কোনোদিন তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেননি। প্রতি মুহূর্তে তিনি সত্যকে লালন করেছেন। পুরো পৃথিবী যখন কালো অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, চারদিকে জাহেলিয়াতের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল, বর্বরতার লু-হাওয়া যখন পৃথিবীকে ভারী করে তুলেছিল, এমন সময় তিনি অমানিশার অন্ধকার দূরে ঠেলে বিশ্বভুবনে সত্যের আলো জ্বেলে দিয়েছিলেন। উপাধি পেয়েছিলেন ‘আল-আমিন’।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে নবিজির অতুলনীয় আদর্শের অনুসারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। নবিজির আদর্শে জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন। সবাইকে সত্যবাদী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।