২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৫:১৬ অপরাহ্ন


টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভাই গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২২
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভাই গ্রেফতার ফাইল ফটো


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রাম থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মিরাজ ও সুমন নামে দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভূঞাপুর পৌরসভার পলিশা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মিরাজ (১৪) এবং তার বড় ভাই সুমন (২২)।

শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনের নামে ভুঞাপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

 জানা যায়, উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো তার সহপাঠী মিরাজ। একপর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বড় ভাই সুমন, ভাবী লাবন্য ও চাচা মনিরুজ্জামানের সহায়তায় তাকে রাস্তা থেকে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ মিরাজ ও তার ভাই সুমনকে গ্রেফতার করে।

অপহৃত স্কুলছাত্রী বলে, ‘একই বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে মিরাজ আমাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতো। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শুক্রবার মিরাজ ও তার বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় আমাকে প্রথমে গাজীপুরের টঙ্গী এবং পরে সাভারে তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে নলুয়াতে এলে পুলিশ আমাদের থানায় নিয়ে আসেন।’

স্কুল শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমার নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। আসামিদের কঠোর শাস্তি চাই।’

ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধারসহ দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়। সেখান থেকে জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল কোর্টে পাঠানো হয়। গ্রেফতার দুই ভাইকে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।