১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১০:২৬:৩৩ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে 'বাংলাদেশ' নামে সড়কের নামকরণ
ইমা এলিস/বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১০-২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে 'বাংলাদেশ' নামে সড়কের নামকরণ যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে 'বাংলাদেশ' নামে সড়কের নামকরণ


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ নামে সড়কের নামকরণ দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক সড়কের নামকরণ করা হচ্ছে 'লিটল বাংলাদেশ' এবং বাংলাদেশ ব্লুভার্ড। 'বাংলাদেশ' নামে এখন পর্যন্ত চারটি এলাকার নামকরণ করা হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

ব্রুকলিনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড নামের সংযোগস্থলকে লিটল বাংলাদেশ নামকরণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বুকে ছোট্ট বা লিটল বাংলাদেশের সংখ্যা দাঁড়াল তিনটিতে এবং বাংলাদেশ এভ্যেনু ও ব্লুভার্ড নামেও রয়েছে বেশ কয়েকটি সড়কের নাম।

স্থানীয় সময় রোববার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন পৌরসভায়ও 'লিটল বাংলাদেশ' নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ব্রুকলিন চার্চ ম্যাগডোনাল্ড রোডের নতুন নামাকরন লিটল বাংলাদেশ নামফলক উন্মোচন করেন নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ড্রিস্টিক্ট-৩৯ কাউন্সিলর ও সিটি কাউন্সিলের ইমিগ্রেশন কমিটির চেয়ারম্যান শাহানা হানিফ।

শাহানা হানিফ তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, আমি আমার বাবার লিটল বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট দেখে ছোটবেলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম এবং ভেবেছিলাম যদি কখনো সুযোগ পাই এই চার্জ ম্যাগডোনাল্ড রোডের নাম লিটল বাংলাদেশ হিসেবে নামকরণ করব। এই এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবেশে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছেন বিধায় আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ করছি।

তিনি বলেন, আজকে এই মহতী দিনে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটা ইতিহাস তৈরি করে রেখে যেতে পেরেছি। বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি কাউন্সিলর শাহানা হানিফকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই আজকে বাংলাদেশ আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের প্রাক্কালে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড.মনিরুল ইসলাম, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া প্রমুখ।

নামফলক উম্মোচনের সময় বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, ড. প্রদীপ কর, ডা. মাসুদুল হাসান, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যাশনাল কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান খোরশেদ খন্দকার আবুল হাশেম, রেফায়েত চৌধুরী, আবু তাহের, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, চন্দন দত্ত, রব মিয়া, জাহিদ মিন্টু, এ্যানি ফেরদৌস, খালেদা খানম, শাসসুদ্দিন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক, ফিরোজ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ হায়দার ও মনির আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউ ইয়র্ক সিটির একটি বিল সিটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করা হয় বাংলাদেশি কাউন্সিলর শাহানা হানিফের উদ্যোগে। তার উত্থাপিত উক্ত বিলটি (০৮৮০-২০২২) গত ১৪ জুলাই ৪৭-০ ভোটে সিটি কাউন্সিলে পাশ করেন। এর ফলে চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড নামের সংযোগস্থলকে লিটল বাংলাদেশ নামকরণ ঘোষনা করা হয়।

চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সের জ্যামাইকার হিলসাইড অ্যাভিনিউ ও হোমলন স্ট্রিটের সংযোগস্থলকে লিটল বাংলাদেশ হিসেবে নামরকরণ উন্মোচন করা হয়। ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডের লিটল বাংলাদেশ নামকরণের ঘোষনায় নিউ ইয়র্কে দু'টি এলাকার নামকরণ করা হলো লিটল বাংলাদেশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি অধুষ্যিত জ্যাকসন হাইটসে 'বাংলাদেশ' নামে একটি সড়ক করার উদ্যোগ নিয়েছে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ)। সংগঠনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্ক নগর কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। প্রস্তাবটি পাস করানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের থার্ড স্ট্রিট ও আলেকজান্দ্রিয়া অ্যাভিনিউয়ের মাঝে অবস্থিত একটি এলাকাকে লস অ্যাঞ্জেলস শহর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক 'লিটল বাংলাদেশ' নামে স্বীকৃতি দেয়। এটি শহরটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের প্রাণকেন্দ্র।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন সিটির ইউনিয়ন অ্যাভিনিউ সড়কের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ বুলেভার্ড’ রাখা হয়। ২০১৯ সালের ২২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত সড়কে নামফলক লাগিয়ে বাংলাদেশ বুলেভার্ড করা হয়।