২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৩৯:৩৬ অপরাহ্ন


শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন
অভিলাস দাস
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১০-২০২২
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর  আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন


শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। 

কর্মসূচীসমূহের মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে শহীদ শেখ রাসেল এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উপ-প্রচার সিদ্দিক আলম।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ১৯৬৪ সালের আজকের এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুব আদরের সন্তান ছিলেন। নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ন্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু । তাই তিনি দার্শনিক বার্ন্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে নিজের ছোট ছেলের নাম রাখেন রাসেল। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে কারাগারে। তাই পিতার সান্নিধ্য, স্নেহ ও ভালোবাসায় তাঁর বড় হয়ে ওঠার সুযোগ হয়নি। মা ছিলেন তার সব আবদার, ভালোবাসা ও মমতার আধার, আর ভাইবোনদের চোখের মণি ছিল সে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে এলে সেদিন রাসেল পিতাকে আবেগ ভরা দুচোখে দেখেছেন, তাঁর স্নেহ ও ভালোবাসর চুম্বনে সিক্ত হয়েছেন। এরপর থেকে সে খুব একটা পিতার সান্নিধ্য ছাড়া থাকতে চাইত না। শেখ রাসেল ছিলেন দুরন্ত বালক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর অতি আদরের কনিষ্ঠ পুত্রকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ যাতে কোনদিন আর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে শিশু রাসেলকেও হত্যা করে ঘাতকেরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের এই বাংলার মাটিতে ঠাঁই হবে না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা আজ মাথা তুলে উঠতে চায়ছে। এই বাংলাদেশে তা অসম্ভব। তাদের বিষদাঁত এখনই উপড়ে ফেলতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের কখনও সফল হতে দেবে না। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অদ্যবধি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুব আদরের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। নোবেল বিজয়ী বৃটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর লেখা বইগুলো পড়েতেন তিনি। সেই দার্শনিকের নাম অনুসারেই বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলের নাম রাসেল। দুরন্ত ও প্রাণবন্ত বালক শেখ রাসেল ছিলেন পরিবারের সকলের খুব আদরের ও ভালোবাসার একজন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার মধ্যে দিয়ে শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাকেও বাঁচতে দেয়নি খুনিরা। শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে, তারা মানবতাকে হত্যা করেছে। 

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এমন সময় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তাদেরকে কোনভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের শিকড় এখনই উপড়ে ফেলতে হবে।  

বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর খুব আদর ও ভালোবাসার সন্তান ছিলেন। মায়ের পরম মমতা ও ভাই বোনের নয়নের মনি ছিলেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে শেখ রাসেলকেও অমানবিক ভাবে হত্যা করা হয়। 

তিনি আরো বলেন, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছি। এই নির্বাচনে আপনারা আমাকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেছেন। আমি রাজশাহী জেলার সকল সংসদ সদস্য, মেয়র, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই বিজয় আপনাদের, এই বিজয় আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল,বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, শাহাব উদ্দিন, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, খায়রুল বাশার শাহীন, মোখলেশুর রহমান কচি, মাসুদ আহমদ, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকেসদ-উর-আলম সুমন প্রমুখ।