১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৫০:৫২ অপরাহ্ন


নিয়ানডার্থালদের পরিবারের সূত্র ধরে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লিখল বিজ্ঞান
সুমাইয়া তাবাসুম
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১০-২০২২
নিয়ানডার্থালদের পরিবারের সূত্র ধরে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লিখল বিজ্ঞান নিয়ানডার্থালদের পরিবারের সূত্র ধরে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লিখল বিজ্ঞান


এই প্রথমবার সচক্ষে দেখা গেল নিয়ানডার্থাল মানুষের অবশেষ। গবেষকরা সাইবেরিয়ার একটি অঞ্চল থেকে খোঁজ পেয়েছে এই প্রত্যন্ত নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠীর। যার মধ্যে ছিল ১৩ জন মানুষ। যারা একে ওপরের সঙ্গে কোনও না কোনও সম্পর্কে জড়িত।

নিয়ানডার্থালরা চল্লিশ থেকে চারশো হাজার বছর আগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। মূলত, ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মধ্য এশিয়ায়। ২০২২-এর নোবেলজয়ী সাভান্তে পাবো নিয়ানডার্থাল ডিএনএ বিষয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে নিয়ে আসেন।

ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর এভেলিউসানারি এনথ্রোপোলজি কয়েক জন আন্তর্জাতিক স্তরের গবেষকদের নিয়ে একটি দল গঠন করেন। সেই দল ১৩টি জিনোম ব্যবহার করে নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠী সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে সক্ষম হয়। এর আগেও যদিও গবেষকরা নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠীর ইতিহাসে আলোকপাত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবে এইবার প্রথম যে সরাসরি এমন খোঁজ মিলল।

রাশিয়ার দুটি গুহা থেকে সংগ্রহীত হাড়ের টুকরো থেকে ডিএনএ নিয়ে গবেষকরা ১৩টি ভিন্ন নিয়ানডার্থাল গোষ্ঠীর মধ্যেকার সম্পর্ক বুঝতে সক্ষম হন। এবং সেই সময়কার জীবনযাত্রা বিষয় একটা ধারণা জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। অনুমান করা হচ্ছে যে নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠী এই সমস্ত গুহাগুলোতে ৫৪ হাজার বছর আগে বসবাস করত। শেষ ১৪ বছরে সেই সমস্ত তথ্যই হাতে উঠে এসেছে।

গবেষকদের মতে চ্যাগিরস্কায়া এবং ওকল্যাডনিকোভ অঞ্চলে নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠীর মানুষ ঘোড়া, বাইসন, বুনো ছাগল, এই সমস্ত শিকার করত। এই পশুগুলি মূলত নদী পার ধরে ওই সমস্ত অঞ্চলে শিকার বা আশ্রয়ের খোঁজে ঢুকে পড়ত।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই সমস্ত গুহা থেকে এমন একাধিক সূত্র খুঁজে পেয়েছেন, যার থেকে তাঁরা দাবি করছেন যে এই গুহাগুলোতে একাধিক নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল।

লৌরিটজ স্কোভের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘এই বিষয়টা সত্যি খুব মজার, যে এরাও একই সময় বসবাস করছিল। সেই কারণে এই প্রথমবার আমরা প্রজাননশাস্ত্রের সাহায্য নিয়ে নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠীর সামাজিক গঠন সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করতে পারব।’

আরেক জন লেখক এবং গবেষক বেনজামিন পিটারের মতে, এই অনুসন্ধানের ফলে নিয়ানডার্থাল জনগোষ্ঠী আমাদের চেতনে আরও বেশি করে মনুষ্য চেহারা ধারণ করতে পারবে হয়তো।