স্বামীর হাতে টাকা দিয়ে খাসির মাংস কিনে আনতে পাঠিয়েছিলেন স্ত্রী পন্ডিসেলভি। কিন্তু স্বামী সেই টাকায় মদ খেয়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন স্বামী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠের তক্তা দিয়ে স্বামীকে আঘাত করেন স্ত্রী। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় ন্ধানা মারিয়াপ্পন (৪৮) ।

তামিলনাড়ুর রাজাপালায়মে এ ঘটনা ঘটে ।

জানা গেছে, মারিয়াপ্পন প্রায়ই নেশা করতেন। মদ্যপান করে পড়ে থাকতেন তিনি। রবিবার খাসির মাংস কিনে আনার জন্য স্বামীকে ৫০০ টাকা দিয়ে দোকানে পাঠিয়ে ছিলেন পন্ডিসেলভি। কিন্তু মারিয়াপ্পন সেই টাকার অর্ধেক খরচ করে মদ্যপান করেন। বাকি টাকা দিয়ে মাংস কিনে বাড়ি ফেরেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্বামীকে বাড়ি ফিরতে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্ত্রী পন্ডিসেলভি। পাশে পড়ে থাকা একটি কাঠের তক্তা দিয়ে স্বামীর মাথায় সজোরে আঘাত করেন তিনি। এতে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় মারিয়াপ্পনের।

চোখের সামনে স্বামীর মৃত্যু দেখে ঘাবড়ে যান স্ত্রী। ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তিনি ধারালো কোনও অস্ত্র ব্যবহার করে স্বামীর গলা চিরে দেন। তারপর মৃতদেহ ওই অবস্থাতেই ফেলে রেখে মেয়ের বাড়িতে চলে যান। সন্ধ্যাবেলা মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর স্বামী মৃতদেহ দেখে চমকে ওঠার ভান করেন পন্ডিসেলভি।

মেয়েকে জানান, মারিয়াপ্পন মদ খেয়ে প্রায়শই নিজেকে আঘাত করতেন। একা থাকার সুযোগে হয়তো তেমন কোনও ভাবেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মারিয়প্পনের মদ্যপানের ঘটনা সুবিদিত হওয়ায় সেই কথা বিশ্বাস করে নেন দম্পতির মেয়ে।

তবে তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। ওইভাবে নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করা যে সম্ভব নয়, তা বুঝতে পরেই পন্ডিসেলভিকে জেরা করতে শুরু করেন তাঁরা। সেই জেরার মুখে সমস্ত ঘটনা স্বীকার করেন পন্ডিসেলভি। স্বামীকে খুন করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।