২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৫৭:৪১ অপরাহ্ন


‘দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হচ্ছে’
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১০-২০২২
‘দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হচ্ছে’ ‘দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হচ্ছে’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে রিজার্ভের টাকা কোথায় গেছে। আমি বলতে চাই, রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে, খাদ্য কেনায় এবং আমদানি-রপ্তানিতে কাজে লাগানো হয়েছে। দেশের টাকা দেশেই আছে। রিজার্ভের টাকা উধাও হয়ে যায়নি। মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পায়রা সমুদ্রবন্দরে আরও ভালো সুযোগ-সুবিধাসহ এর সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

পায়রা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে রামনাবাদ চ্যানেলে খনন করা হচ্ছে বলে শেখ হাসিনা এ সময় জানান। নিজেদের অর্থে সবচেয়ে বড় ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়ন হচ্ছে। পায়রা থেকে যোগাযোগে নৌ পথকে প্রাধান্য দেয়া হবে। সব ধরনের যোগাযোগ সমন্বিতভাবে হচ্ছে। বন্দরকেন্দ্রীক উন্নয়ন হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর পরিকল্পনায় অনেক বাধা এসেছে। আমার নিজের মধ্যেও অনেক বাধা ছিল। আমি নিজে এসব অঞ্চল অনেক ঘুরেছি। স্পিড বোটে করে বিভিন্ন চরে ঘুরেছি। বাধা সত্ত্বেও আমরা করে দেখিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ২৬০টি বাণিজ্যিক জাহাজ পায়রা বন্দরে এসেছে। এর থেকে ৬১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা হয়েছে। বিদেশি অর্থায়নে অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। সেজন্য আমাদের নিজের টাকা দিয়ে একটা ফান্ড তৈরি করেছি। সেই ফান্ডের নাম ‘বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল’ আমি নিজেই দিয়েছি। সেই ফান্ডের টাকা দিয়েই বন্দরের ড্রেজিং কাজ শুরু করেছি, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

ভবিষ্যতে ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, কেউ বিশ্বাসই করতে পারে নাই এখানে একটা বন্দর হতে পারে। বাবার কাছে ছোটোবেলায় গল্প শুনেছি, নদীতে ড্রেজিং হতো। গভীরতাটা খুব জরুরি। অনেকে বলেছে ড্রেজিং করে দিলে পরে আবার সিলড হয়ে যাবে। তবে প্রথমে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে, পরে নিয়মিত ড্রেজিং অব্যাহত রাখতে হবে। পয়রা বন্দরে দেশের সর্ববৃহৎ ড্রেজিংয়ের কাজ হচ্ছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধে লাভবান হচ্ছে কারা? অস্ত্র যারা বানান, তারাই লাভবান হচ্ছে। যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। স্যাংকশন প্রত্যাহার করতে হবে, মানুষ বাঁচুক, অস্থিরতা বন্ধ হোক। যুদ্ধংদেহী দেশগুলোকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।