নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় সাব্বির হোসেন (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসিপুর গ্রামের একটি আম বাগানের নালা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাব্বির হোসেন বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম হায়দার আলী।
পরিবারের বরাত দিয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সাব্বির হোসেন গত রোববার স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরে। বিকেল ৪টার দিকে বাবার ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ওই দিনই সাব্বিরের চাচা শরীফুল ইসলাম বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি আরো বলেন, সোমবার দুপুরে মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘড়িয়া এলাকায় চারঘাট-বাঘা-ঈশ্বরর্দী সড়কের পাশের আমবাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাব্বিরের বাবার রিকশাভ্যানটি ব্যাটারিবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। আর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে মনিগ্রাম গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে তুলসিপুর বজলু মাস্টারের আম বাগানের নালার মধ্যে সাব্বিরের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ওসি বলেন, সাব্বির হোসেনের চাচা শরীফুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তার ভাই রিকশাভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। কোনো কোনো সময় স্কুল ছুটির পর ভাতিজা আশপাশে ওই ভ্যান নিয়ে ভাড়ায় চালায়। সেই টাকা তার বাবাকে দেন। আর এই ভ্যান চালানোই কাল হলো সাব্বির হোসেনের। প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা ওই রিককশাভ্যানের ব্যাটারির জন্যই দুর্বৃত্তরা তার ভাতিজাকে নির্মমভাবে খুন করেছে।
একই সন্দেহের কথা উল্লেখ করে ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের কাছেও মনে হয়েছে ব্যাটারি ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই সাব্বিরকে হত্যা করে তার লাশ আম বাগানের নালার মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে বলে তিনি জানান।
