২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:০২:৪৯ পূর্বাহ্ন


বিআরটির উত্তরা-টঙ্গী অংশ খুলছে আজ
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১১-২০২২
বিআরটির উত্তরা-টঙ্গী অংশ খুলছে আজ বিআরটির উত্তরা-টঙ্গী অংশ খুলছে আজ


রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুতগতির করতে ২০১২ সালে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। প্রকল্পটির আওতায় ২০.২ কিলোমিটার পথের মধ্যে উত্তরার হাউস বিল্ডিং থেকে টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিস এলাকা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার উড়ালসেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে আজ। এই পথে বিশেষায়িত যান চলাচলের পরিকল্পনা থাকলেও প্রাথমিকভাবে তা হচ্ছে না। সাড়ে চার কিলোমিটার এই পথে সব ধরনের যান চলাচল করবে।

মূলত ঢাকা-গাজীপুর সড়কের যানজট কমাতে উদ্যোগটি নেওয়া হয়। তবে এই পথে শুধু ঢাকামুখী যান চলাচল করবে। টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে যেকোনো গাড়ি উত্তরার হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত আসতে পারবে। রাজধানী থেকে যেতে পারবে না। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটি প্রকল্পের এই একাংশ উদ্বোধন করবেন।

জানতে চাইলে ঢাকা বিআরটি কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, যানজট নিরসনে বিআরটির একটা অংশ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেই এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।

তবে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব কালের কণ্ঠকে বলেন, গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরো পথ চালু হলেও সুফল পাওয়া যেত না। এখন একটি অংশ চালু হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। ট্রাফিকে নতুন করে যে চাপ সৃষ্টি হবে, সেই চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এই আংশিক পথ চালু করায় জনগণ পূর্ণ সুবিধা পাবে না।

২০১২ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দুই হাজার ৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে প্রথম দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তখন ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৬৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। পরে আবারও ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ওই বাড়তি মেয়াদেও কাজ শেষ না হওয়ায় আবার সময় বাড়ানো হয় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। এ সময়ে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি।

রাজধানীতে এটিই প্রথম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধ্যবর্তী উভয় পাশের একটি করে লেন শুধু বিআরটি বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। বিআরটি লেনের পাশাপাশি করিডরটিতে উভয় দিকে দুটি করে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক হালকা যান চলার পথ, একটি করে অযান্ত্রিক যান চলাচলের পথ (সার্ভিস লেন) এবং উভয় পাশে ফুটপাত থাকছে।

প্রকল্পে উড়ালপথে (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) থাকবে ছয়টি স্টেশন এবং ১০ লেনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতু। এই ১০ লেনের মধ্যে এখনো পাঁচ লেনের কাজ শুরু হয়নি।

প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুটি প্যাকেজের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকি দুটির কাজ চলছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশের একটু বেশি।