১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৪১:২০ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে অসময়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন, খোলা আকাশের নিচে অর্ধশত পরিবার
তমাল দাস
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১১-২০২২
রাজশাহীতে অসময়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন, খোলা আকাশের নিচে অর্ধশত পরিবার রাজশাহীতে অসময়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন, খোলা আকাশের নিচে অর্ধশত পরিবার


রাজশাহীর বাঘায় অসময়ে আবারও পদ্মার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঘর ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার। গত এক সপ্তাহে ৫০০ বিঘারও বেশি ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন অনেকেই। আবার গাছের নিচে খোলা জায়গায় বসবাস করছে বেশ কিছু পরিবার। গৃহহারা পরিবারের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। পদ্মার ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের আয়তন।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, পদ্মার ঢেউয়ে ভেঙে পড়ছে পাড়ের মাটি। বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। অনেকে খোলা আকাশের নিচে রান্না করছেন। 

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, কালিদাসখালী গ্রামের অপর অংশ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিন ভাগের দুই ভাগ এখন নদীগর্ভে। যেভাবে ভাঙ্গন চলছে তাতে পুরোটা গিলে খাবে পদ্মা। সবমিলিয়ে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পানিকুমড়া থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এখন ভাঙ্গনের কবলে।

ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনগর গ্রাম পুরোটাই বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে কালিদাসখালী গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক পরিবার। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান বলেন, ‘পদ্মার ভাঙ্গনে গত এক সপ্তাহে আমার ইউনিয়নের ৪৯টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, অসময়ে পদ্মার ভাঙ্গনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।