২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:১১:৪২ অপরাহ্ন


যুবতীর মামলা রেকর্ড হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে লম্পট রনিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ
মাসুদ রানা রাব্বানী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
যুবতীর মামলা রেকর্ড হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে লম্পট রনিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ যুবতীর মামলা রেকর্ড হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে লম্পট রনিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ


রাজশাহী মহানগরীতে যুবতীর দায়ে করা পর্নোগ্রাফি মামলা রেকর্ড হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে মোঃ তাকি হোসেন রনি (৪১) নামের এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে উপশহর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।

গ্রেফতার মোঃ তাকি হোসেন রনি, বোয়ালিয়া থানার উপশহর এ/১৫২ নং বাড়ির এফতেখার হোসেনের ছেলে। 

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ রফিকুল আলম।

তিনি জানান, (Mdtaki Hossain) নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে যুবতীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লিল কথাবার্তা বলে। নিষেধ করলে সে যুবতীকে বলে তোমার একটা অশ্লিল ছবি দাও। আমি তোমাকে আর বিরক্ত করবো না। যুবতী তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে হুমকি দিয়ে বলে তোমার ছবি ইডিট করে অশ্লিল ছবির সাথে সংযুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবো । 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৮/০৮/২০২২ তারিখে ওই যুবতী বাদি হয়ে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সাধারণ ডারেয়ী নং-১২৬৮, তাং-২৮-০৮-২০২২। এরপর (গফঃধশর ঐড়ংংধরহ) নামের ফেসবুক আইডি তদন্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে ওই আইডি সঠিক বলে থানায় রিপোর্ট প্রদান করেন সাইবার ক্রাইম ইউনিট। সনাক্ত হয় অভিযুক্ত।

এরপর মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে যুবতী পুস্পাকে থানায় ডেকে পাঠান ওসি মোঃ এমরান আলী। এ সময় যুবতী পুস্পা মামলা করবে মর্মে জানায়। যুবতীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২এর ৮(২) / ৮(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, ইলেট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি (নগ্ন ছবি) সরবারহ করে সামাজিকভাবে মর্যাদা হানি, ভয়ভীতি ও মানসিক নির্যাতন করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী যুবতীর দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় মোঃ তাকি হোসেন রনিকে উপশহর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

অভিযানটি পরিচালনা করেন মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এর দিক নির্দেশনায়, বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর সার্বিক তত্বাবধানে, এডিসি’র নেতৃত্বে, চন্দ্রিমা থানার ওসি মোঃ এমরান আলী ও সঙ্গীয় ফোর্স।

এ ব্যপারে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান নগর পুলিশের এই মুখপাত্র।