২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১০:৪৭:৫০ পূর্বাহ্ন


পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১১-২০২২
পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেন ফাইল ফটো


পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেনের সেনারা ছুড়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইউক্রেনীয় সেনারা। সেই ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।

পোল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের সীমানার ভেতর বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার তৈরি। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় রাশিয়াই হয়তো পোল্যান্ডের ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তৈরি যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনও ব্যবহার করে।

ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী পোলিশ গ্রাম প্রজেওডোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ রাশিয়াও অস্বীকার করেছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করেছে।

মস্কো বলছে, কিছু পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম এবং রাজনীতিবিদরা দাবি করছে এ ঘটনায় রাশিয়া জড়িত। তবে তারা তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ঘটনাস্থলে পড়া ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো, যার ছবি পোলিশ মিডিয়া প্রকাশ করেছে ‘রাশিয়ান অস্ত্রের সাথে সেগুলোর কোনো মিল নেই’।

রাশিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, পোলিশ সরকার এবং মিডিয়া রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে যে বিবৃতি দিচ্ছে তা ‘পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে ইচ্ছাকৃত উসকানি’।

এদিকে, হামলার ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-৭ জোট নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বসেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে জরুরি বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দুজনেই পরিস্থিতি জানতে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়া বাইডেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

অপরদিকে, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট দোদা বলেছেন, বিস্ফোরণের পর পোল্যান্ড এখন খুব সম্ভবত ন্যাটো সামরিক জোটের আর্টিকেল ৪ এর অধীনে পরামর্শের জন্য অনুরোধ করবে।

তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ন্যাটো সদর দফতরে উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেবেন ... খুব সম্ভবত রাষ্ট্রদূত আর্টিকেল ৪ সক্রিয় বা জোটভুক্তভাবে পরামর্শ করার অনুরোধ করবেন।

এর আগে বিস্ফোরণের পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউসুজ মোরাউইচকি তার দেশের আকাশসীমায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আকাশপথ পর্যবেক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে পোলিশ সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচিত ইউনিটগুলোর যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’