২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন


ফের নিপ্রো জ্বালানি কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ফাইসাল কনক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২২
ফের নিপ্রো জ্বালানি কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ফের নিপ্রো জ্বালানি কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা


ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া। আজ সেন্ট্রাল ইউক্রেনের নিপ্রো শহরের জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রে এসে পড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। ঘটনায় সরকার অধিকৃত নাফতোগাজ় সংস্থার জ্বালানি কেন্দ্রগুলি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত। এর জন্য আজও ইউক্রেনকেই ‘দায়ী’ করেছে ক্রেমলিন। তাদের বক্তব্য, কিভ সমঝোতায় রাজি হচ্ছে না বলেই এই পরিস্থিতি।


Advertisement

নাফতোগাজ়ের সিইও ওলেক্সি চেরনিশোভ বলেন, ‘‘বেশ কিছু অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আর কিছু বিষয় ভাল মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’’ ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহালও জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে বিভিন্ন জ্বালানি কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করে রকেট হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। আজকের হামলায় ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কী, তা এখনও সরকারের তরফে জানানো হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। এমনই একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে একটি গাড়ি চলছে। আশপাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে আরও বেশ কিছু গাড়ি। আচমকাই মাঝরাস্তায় এসে পড়ল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। যিনি ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন, তিনি লিখেছেন, ‘নিপ্রো শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটাই ইউক্রেনীয়দের প্রতিদিনের সকাল। আমরা রোজ কাজে বেরোই এবং জানি না, আর ফিরতে পারব কি না। নাকি কোনও রকেট এসে উড়িয়ে দেবে সব কিছু।’

ক্রেমলিনের বক্তব্য, কিভ মস্কোর সঙ্গে সমঝোতায় রাজি হচ্ছে না বলেই তাদের এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের তরফে সমস্যার সমাধানে কোনও উৎসাহ নেই, তারা সমঝোতা করতে চায় না, দু’পক্ষের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে চায় না— তার জন্যই এ সব হচ্ছে।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের একটি গ্রামে এসে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। তাতে দু’জন পোলিশের মৃত্যু হয়েছে। গোড়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানান, ঠিক কী ঘটেছে, তাঁর জানা নেই। গোটা বিশ্ব জানে না। তবেএই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত, ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার ছিল। কিন্তু এই ঘটনায় ইউক্রেনের নামও উঠতে থাকে। জবাবে জ়েলেনস্কি বলেন,‘‘এটা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই, এই ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের নয়।’’ পোল্যান্ডের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, যদি তাঁদের ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে তাঁরাও তদন্তে যোগ দিতে আগ্রহী।