বছর আগের কথা। বাবলু তখন মোহনবাগানের কোচ। ১৮ বছরের সুনীল এসেছিলেন মোহনবাগানে। সুনীলের খেলা দেখে সুব্রত ভট্টাচার্য এতটাই মুগ্ধ ছিলেন যে ডিনার টেবিলে মেয়ে সোনম, ছেলে সাহেবকে গল্প করতেন। বাবার মুখে সুনীলের কথা শুনেই তরুণী সোনমের মনে অন্য অনুভূতি তৈরি হয়েছিল।
এরমধ্যেই সুব্রত ভট্টাচার্যের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন ছিল অষ্টাদশের সুনীলের। সেখানে গিয়ে সোনমকে দেখে ভাল লেগে গিয়েছিল দিল্লির ছেলেটিরও। তারপর এসএমএস। প্রেম। বাবার ডিফেন্স টপকে তখন প্রায়ই কলকাতার এখানে ওখানে সুনীলের সঙ্গে দেখা করছেন সোনম। বেশ কয়েক মাস পর বাবলু টের পেয়েছিলেন, সুনীল সাগরে ভাসছেন তাঁর মেয়ে।
আর লুইস এনরিকে?
চলতি বছর ম্যাঞ্চেস্টার সিটি থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন ফেরান টোরেস। এরমধ্যেই এনরিকের মেয়ে সিরা মার্টিনেজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি দু’জনে গ্রিসে বেড়াতেও গিয়েছিলেন।
কাতারে স্পেনের প্র্যাকটিসের পর সাংবাদিকরা লুইস এনরিকেকে প্রশ্ন করেন, এই স্প্যানিশ দলটিতে সেরা বাছতে বললে আপনি কাকে বাছবেন? জবাবে রসিকতা করে স্পেনের হেড স্যার বলেছেন, ‘আমাকে ফেরান টোরেসের নামই বলতে হবে। নইলে আমার মেয়ে আমার মুণ্ডচ্ছেদ করবে।
ফেরান টোরেস অবশ্য সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি দুটো জীবনকে পৃথক করে দেখতে জানেন। খেলার সময়ে এনরিকে তাঁর কোচ। খেলার বাইরে শ্বশুরমশাই। এর মধ্যে সংঘাতের কিছু নেই।
মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জানাজানি হওয়ার পরে সুব্রতও প্র্যাকটিসে সুনীলের ভুল হলে ময়দানি বিশেষণ বলতেন। এনরিকেও রেয়াত করেন না ফেরান টোরেসকে।
গল্ফ গ্রিনের পরিবারটির সঙ্গে কী অদ্ভুত মিল স্পেনের পরিবারটির।
