২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৪৮:২৯ পূর্বাহ্ন


পুলিশ ভাইয়েরা সাবধান হয়ে যান: রুমিন ফারহানা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১১-২০২২
পুলিশ ভাইয়েরা সাবধান হয়ে যান: রুমিন ফারহানা পুলিশ ভাইয়েরা সাবধান হয়ে যান: রুমিন ফারহানা


ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করে ছাত্রদল নেতা নয়নকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের ইতিপূর্বে র‌্যাবের উপর সেনশন হয়েছে সুতরাং পুলিশ ভাইয়েরা সাবধান হয়ে যান। শুধুমাত্র লিফলেট বিতরণের কারণে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছেন। নয়ন হত্যাকাণ্ডের বিচার বাঞ্ছারামপুরের মাটিতে হতেই হবে। আমার দেশে আমার ভাইয়ের বুকে আপনারা গুলি চালাবেন, আমার ভাইয়ের রক্তে বাংলার মাটি ভিজবে, আপনাদেরকে এর জবাব একটা একটা করে দিতে হবে। সেই দিন আর বেশি দেরি নাই। 

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরশিবপুর গ্রামে নিহত নয়নের বাড়িতে তার, মা, স্ত্রী ও পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পর এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আমরা তো গণমাধ্যমে কাজ করি, সাধারণ মানুষের মন্তব্য আমরা পড়ি। তারা এখন পুলিশের বিরুদ্ধে সেনশন চায়। পুলিশের যেসব সদস্যরা অতি উৎসাহী, তারা মনে করে হাসিনা থাকলেই টিকতে পারবে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে লুটপাট অব্যাহত রাখতে পারবে। তারা সেই কারণে অতিভীত।

আওয়ামী লীগকে ‍উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ আওয়ামী লীগের দুঃশাসন মানুষ কিন্তু ভুলে নাই। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক চক্রান্তে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেছেন। তারপর থেকে বিনা ভোটে নির্লজ্জের মতো ক্ষমতায় বসে আছেন। আপনারা মনে করেছেন এর জবাব দিতে হবে না। সব কিছুর হিসাব আমরা নিবো। কেন আমার হাজার হাজার ভাইকে গত ১৪ বছরে বিনা দোষে হত্যা করা হয়েছে। কেন আমার ভাইদের গুম করা হয়েছে। আপনারা যেভাবে ২০১৪ ও ১৮ তে বিনাভোটে লুটপাটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসছেন। মনে কইরেন না, ২০২৪ সালে সেই ওয়াকওভার পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের সমুচিত জবাব দেবে। 

এ সময় নেতা-কর্মীদের গণতন্ত্রের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সঠিকভাবে গণতন্ত্রের যুদ্ধ করতে পারলে এ ধরণের পুলিশ খালে-বিলে ও নদীতে ভেসে যাবে। তিনি বলেন, নয়নের রক্ত বৃথা যাবে না। জনগণের আদালতেই নয়ন হত্যার বিচার হবে। 

প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, সাবেক এমপি এম. এ. খালেক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইদ মাহমুদ জুয়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে নিহত নয়নের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।