১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৪২:১২ অপরাহ্ন


৪০ বছর পর হাওয়াই দ্বীপে অগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১১-২০২২
৪০ বছর পর হাওয়াই দ্বীপে অগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত প্রায় ৪০ বছর পর পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সক্রিয় অগ্নিগিরি মাওনা লোয়ার অগ্ন্যুৎপাত। ছবি: ইউএসজিএস/রয়টার্স


প্রায় ৪০ বছর পর শুরু হয়েছে হাওয়াই দ্বীপে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সক্রিয়অগ্নেয়গিরি মাওনা লোয়ার অগ্ন্যুৎপাত। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ রাজ্য হাওয়াইতে স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে ১১টায় আগ্নেয়গিরিটি থেকে লাভার উদগিরণ শুরু হয়। এরই মধ্যে স্থানীয়দের জন্য সতর্কবার্তার মাত্রা বাড়িয়েছে প্রশাসন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত অগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের আশেপাশে লাভা প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়দের এ বিষয়ে 'সতর্ক' থাকতে বলা হয়েছে। এটিই এর সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা। তবে এখনো বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। সাগরপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৬৭৯ ফুট উঁচু ও প্রায় ৫ হাজার ১৭৯ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাওনা লোয়া অগ্নেয়গিরি হাওয়াই দ্বীপের প্রায় অর্ধেক।

এদিকে হাওয়াই দ্বীপের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি দ্বীপের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, তাদের 'লাভার বিপর্যয়ে' পড়ার আশঙ্কা আছে।

এর আগে, স্থানীয়দের অগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত ছাইয়ের ঝুঁকি থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল।

আগ্নেয়গিরিবিষয়ক ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ও হাওয়াই ভলকানো অবজারভেটরিতে কর্মরত ড. জেসিকা জনসন বলেন, ‘লাভার স্রোত হিলো ও কোনা শহরের বাসিন্দাদের জীবনকে ভয়াবহ হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এমন উত্তপ্ত লাভা শহরের অবকাঠামো ও প্রকৃতি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে উদগিরিত বিষাক্ত গ্যাস ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসকষ্টে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।’

ইউএসজিএসের তথ্য মতে, ১৮৪৩ সালের পর মাওনা লোয়ায় ৩৩ বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। ১৯৮৪ সালে এর সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। সেসময় লাভার প্রবাহ দ্বীপের সবচেয়ে জনবহুল হিলো শহরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছিল।