২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ন


রাবির রাকসু-সিনেট কার্যকরের দাবিতে অবস্থান
আল্-মারুফ, রাবি প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১১-২০২২
রাবির রাকসু-সিনেট কার্যকরের দাবিতে অবস্থান রাবির রাকসু-সিনেট কার্যকরের দাবিতে অবস্থান


রাকসু ও সিনেট কার্যকর করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) রাকসু আন্দোলন মঞ্চ।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সংগঠক মো. জাকির হোসেন বলেন, রাকসু মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সমস্যা তুলে ধরার একটি প্লাটফর্ম। ছাত্রদের কোনো প্রতিনিধি না থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের দুঃখ কষ্টগুলো শেয়ার করার জন্য জায়গা পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকদিন ধরে রাকসুর কোনো কার্যক্রম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত রাকসু চালু করে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে আমি আশাবাদী।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, রাকসু শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, যেখানে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ নিয়ে কাজ করে রাকসু। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কার্যক্রম দীর্ঘ তিন দশক ধরে বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা কথা বলার জায়গা পাচ্ছে না। তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, হলে সিট পাচ্ছে না। হলগুলোতে সিট বাণিজ্যের কারখানা গড়ে উঠছে। কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। সবকিছুর নির্বাচন হচ্ছে কিন্তু রাকসু নির্বাচন দিতে প্রশাসন ভয় পাচ্ছে। কারণ রাকসু কার্যকর হলে তাদের অনৈতিক কাজগুলো আর করতে পারবে না। অনতিবিলম্বে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান এ শিক্ষার্থী।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, আমরা সব ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। শিক্ষার্থীরাও আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে গণ সই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। রাকসু চালু হলে প্রশাসন তাদের অন্যায়-অবিচার, নিয়োগ বাণিজ্য, ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহিতার ভয়ে গণতন্ত্রের জায়গা রাকসু চালু করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দলীয় ছাত্র সংগঠনগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। রাকসু না থাকায় শিক্ষার্থীরা এখন তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে কথা বলতে ভয় পায়। শিক্ষার্থীরা ভুলে গেছে কোনটা তাদের অধিকার, কোন বিষয়ে তাদের কথা বলা উচিত। শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা ফি দিচ্ছে, রাকসু ফি দিচ্ছে কিন্তু এর সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো।

এর আগে তারা মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এর মধ্যে অন্যতম সপ্তাহব্যাপী গণ সই কর্মসূচি। এতে দুই হাজার শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।