২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:২৫:২৩ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে এমপি আয়েনের বিরুদ্ধে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আদালতে মামলা
মঈন উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১২-২০২২
রাজশাহীতে এমপি আয়েনের বিরুদ্ধে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আদালতে মামলা রাজশাহীতে এমপি আয়েনের বিরুদ্ধে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আদালতে মামলা


রাজশাহী-৩ আসনের (পবা-মোহনপুর) এমপি আয়েন উদ্দিনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহীর মোহনপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন মারপিটের শিকার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার আলী হায়দার নামের এক ব্যক্তি। তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের কর্মী ছিলেন। তাকে সহ চার-পাঁচজনকে মারপিট ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, এমপি আয়েন উদ্দিন, তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন, বুলবুল, মাহবুব, শফিকুল, টুটুল, রাজু ও সাইফুল।

মামলার আরজিতে বলা হয়, গত রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের প্রধান সমন্বয়কারী মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী এ্যাডভোকেট আবু রায়হান প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঘটনার দিন গত ৫ অক্টোবর দায়িত্ব পালন কালে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পান যে, তাদের নির্বাচনী প্রচার কর্মী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ফেস্টুন পোস্টার টাঙ্গানোকে কেন্দ্র করে মামলার আসামীরা উত্তপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে ঘটনাস্থলে এসে অসিম কুমার দাস, মেহেরুন্নেছা, সুইট সহ ৪-৫ জনকে কিল, থাপ্পড় মেরে বুকের কাপড় ধরে টানাটানি করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আটক রাখে। এমন সংবাদ পেয়ে ১নম্বর সাক্ষী অন্যান্য সাক্ষীগণকে নিয়ে তৎক্ষনাৎ ২টি মাইক্রোবাসে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

এরপর এমপি আয়েনের নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা বাদীসহ সকল সাক্ষীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। এসময় লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মাইক্রোবাস দুটির ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও তারা দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি দ্রুত জানাজানি হলে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাদীসহ সাক্ষীদের উদ্ধার করে।

মামলার আইনজীবী আবু রায়হান জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

তবে মামলার বিষয়ে জানেন না বলে জানান এমপি আয়েন উদ্দিন। তিনি বলেন, ওইদিন ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত না থাকলে আরও বড় ধরনের ঝামেলা হত। আমি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। অভিযোগকারীরাই আমাদের লোকজনকে মারপিট করেছেন।