২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৫৪:০৪ অপরাহ্ন


মারাদোনার ধাত্রীগৃহে বেড়ে ওঠা তারকাই আর্জেন্টিনা দলের মধ্যমণি
সুমাইয়া তাবাসুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১২-২০২২
মারাদোনার ধাত্রীগৃহে বেড়ে ওঠা তারকাই আর্জেন্টিনা দলের মধ্যমণি মারাদোনার ধাত্রীগৃহে বেড়ে ওঠা তারকাই আর্জেন্টিনা দলের মধ্যমণি


বিশ্বকাপের মঞ্চ একেবারে আলাঁটা। এখানে রাতারাতি নায়ক হওয়া যায়। সেই তারকার বিশ্ব ফুটবলে পরিচিতি হয়। তারপর সেই ফুটবলারকে নিয়ে ক্লাবগুলির মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়ে যাত লিওনেল মেসিদের শিবিরেও এমন এক তারকার উত্থান ঘটেছে।

বুধবার কাতারের মাঠে যখন আর্জেন্টিনার প্রথম গোল পেতে কালঘাম ছুটছে, সেইসময় বিরতির পরে আলেক্সি ম্যাক অ্যালিয়েস্টারের গোল যেন বসন্তের হাওয়া।

আলেক্সি উঠে এসেছেন দিয়েগো মারাদোনার যৌবনের ক্লাব আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স ক্লাব থেকেই। বিশ্বকাপে আসার আগে সেই ক্লাবে বসা মারাদোনার মর্মর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করে এসেছেন তিনি। হয়তো জোর হাত করে বলে এসেছিলেন, জাতীয় দলকে জেতানোর ক্ষমতা দিন।

আর্জেন্টিনার ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগোর মতোই অ্যালিয়েস্টারের জন্মও বুয়েনস আয়ার্সে। ফুটবলের শুরুও একই ক্লাবে। এমনকি মারাদোনার মতোই বোকা জুনিয়র্সেও খেলেছেন এই উঠতি তারকা। শুধু তাই নয়, মেসিদের তরুণ সতীর্থের বাবা আবার মারাদোনার অন্তরঙ্গ বন্ধুও ছিলেন।

আলেক্সি সম্পর্কে এই তথ্য দিলেন আর্জেন্টিনার টিওয়াইসি স্পোর্টসের সাংবাদিক মারিন রিপ্লেটা। তিনি বলছিলেন, ‘‘আলেক্সি দলের সবচেয়ে শান্ত ছেলে। নিজের কাজ ঠিক করে দেয়। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ভাল ধারণাও রয়েছে। আজ হয়তো ওঁর এই চমকপ্রদ উত্থানে দিয়েগো বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। হয়তো বিবৃতিও দিতেন আমাদের।’’

আরও একটি অবাক করা তথ্য, মেসিদের নতুন তারার জন্ম ২৪ ডিসেম্বর বড় দিনে, তাই তাঁকে শিবিরে ডাকা হয় ‘জেসাস’ নামে। দলের বাকিরা যখন গোল করতে পারছিলেন না, সেইসময় তিনি যীশুর ভূমিকায় হাজির হয়েছেন। তাঁর গোলেই বুক থেকে পাথরটা নেমে গিয়েছে দেশের মানুষের।

স্বচ্ছল পরিবারে জন্মানো এই তারকার বাবা ফুটবলার, মা বিরাট মাপের ব্যবসায়ী। বুয়েনস আয়ার্সে বড় রকমের বুটিকের দোকান রয়েছে। মা খুব চেয়েছিলেন ছেলেও ব্যবসায় আসুক। কিন্তু জীবন কার কোনদিকে বইবে কেউ জানে না।

মাত্র ৬ বছর বয়সেই ফুটবলের হাতেখরি। দলের অ্যাটাকিং ফুটবলার হিসেবে ক্রমে উন্নতি করেছেন। খুব দ্রুতই সিনিয়র দলে স্থান করে নেন জেসাস। বলকে কথা বলাতে পারেন, তাঁর সোনার পাসে গোলের ঠিকানা লেখা থাকে। ইংলিশ ক্লাব ব্রাইটনের হয়েই ফুল ফুটিয়েছেন এই প্রতিশ্রুতিমান।

২০২০ সালে শুরুতে তাঁর ক্লাব ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল। তারপর করোনা সময়ে বাকিদের মতোই তাঁর অগ্রগতিও থমকে গিয়েছিল। কোচ গ্রাহাম পটারের মন জিতে নিয়েছিলেন শুরুতেই। কার্লোস তেভেজের পরামর্শে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সেই তাঁকে ভাবা হচ্ছে আর্জেন্টাইন ফুটবলের ভবিষ্যৎ। শুধু তাই নয়, মেসিরও পছন্দের ফুটবলার অ্যালিস্টার। যিনি চুলে রং করে সতীর্থদের কাছে জিনজার ডাকনামও পেয়েছেন। তবে নতুন যীশুর আগমনে মেসিরা যে চনমনে। তা খেলার ফলেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।