১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:১২:১৩ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিনই পরিপূর্ণ মাদ্রাসা ময়দান এলাকা
মঈন উদ্দিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১২-২০২২
রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিনই পরিপূর্ণ মাদ্রাসা ময়দান এলাকা রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিনই পরিপূর্ণ মাদ্রাসা ময়দান এলাকা


রাজশাহী নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান। এখানেই শনিবার দুপুর ২টায় বিএনপির পূর্বঘোষিত গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের পথে পথে পুলিশি বাধাঁ, বাস ও সিএনজি ধর্মঘট অতিক্রম কওে সমাবেশস্থলে এসে পৌছেঁছেন। শুক্রবার দুপুরে গিয়েই দেখা গেল সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য, যেন একটু পরেই শুরু হবে সমাবেশ। মাদ্রাসা মাঠ এলাকার আশপাশের এলাকায় এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিনই বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ সমাবেশস্থল। এদিকে, সমাবেশে অংশ নিতে দলটির অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছেছেন। তাঁদের স্বাগত জানাতে দিনভর নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিলও করেছেন।

শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। দুপুর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও পিকআপে নেতাকর্মীরা আসা শুরু করেছেন। বর্তমানে মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় আশপাশের এলাকা এবং পদ্মার নদীর তীর এলাকায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা রাজশাহীর বিভাগের বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে এসেছেন। তারা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে নেচেগেয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন। শনিবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদের এই আগমন।

এর আগে, দুপুরের দিকে সমাবেশস্থল এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, জুমার নামাজ আদায়ের পরপরই রাজশাহীর বিভিন্ন মসজিদ, উপজেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মীরা মাঠের দিকে ছুটছেন। এ সময় তাদের নানা শ্লোগান ব্যবহার করে মিছিল করতে দেখা যায়। মাঠের এক কোণায় কর্মীদের খাবার দেন নেতারা। তবে বিকেল হতেই ভিন্ন হতে শুরু করে দৃশ্য। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মাঠ একদম পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখনো বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগ সমাবেশে বাধা না দেওয়ার ঘোষণা দিলেও কয়েক দিন ধরে মহানগরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীতে মহড়া দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্ট মণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এছাড়া রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদেও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শহর দৃশ্যত শান্ত থাকলেও বিকেলের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মহড়ার কারণে খানিকটা উত্তেজনা বেড়েছে। মোটরসাইকেল মহড়া থেকে ভীতি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন বাইরে থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে এখনো শহরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা রেলগেইট, শিরোইল, ভদ্রা, তালাইমারী বাস স্ট্যান্ডে সকাল ৯টায় গিয়ে দেখা যায়, কোনো বাস গন্তব্যে ছেড়ে যায়নি, নগরীতে আসেনি। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে চলাচল করছে শুধু রিকশা। এরই মধ্যে ভ্যানে করে শহরে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দেখা যায়।