১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৩৮:২০ পূর্বাহ্ন


সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অথনীতিকে ধ্বংস করেছে : মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-১২-২০২২
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অথনীতিকে ধ্বংস করেছে : মির্জা ফখরুল সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অথনীতিকে ধ্বংস করেছে : মির্জা ফখরুল


দেশের মানুষ মুক্তি চায়। তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অথনীতিকে ধ্বংস করেছে। রাজনীতি কাঠামোকে হত্যা করেছে। তৃত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে এই সরকার আন্দোলন করেছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় এসে সেই পদ্ধতি বন্ধ করেছে। কিন্তু তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। 

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল এসব কথা বলেন।

রাজশাহীর গণসমাবেশের উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফকরুল বলেন, শত প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা তিনদিন ধরে অবস্থান করছে। পদ্মার ঠা-া বাতাস গায়ে হু হু করে লেগেছে। তারপরও আপনারা এখান থেকে এক বিন্দুও সরেননি। খেয়ে না খেয়ে। কীসের ভালোবাসায়, কীসের তাগিদে আপনারা তিন ধরে এখানে কাটালেন? একটি মাত্র কারণ, আপনারা মুক্তি চান। ভয়াবহ দানবের হাত থেকে আপনারা মুক্তি চান।

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয়, লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা সম্পদ লুট করে পাহাড় বানাচ্ছে আর সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। ইসলামী ব্যাংকের টাকা নামে বেনামে ঋণের নামে লুট করছে। 

সরকার ঢাকার সমাবেশ নিয়ে ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ) তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘুম হারাম করে ফেলেছে। তারা আতঙ্কে ভুগছে। আমরা তো নয়া পল্টনে অসংখ্য সমাবেশ করেছি, যেখানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। কই তখন তো কোনো সমস্যা হয়নি। এখন তারা জঙ্গি নাটক শুরু করেছে। নিজেদের প্রয়োজনে জঙ্গি বানায়। নিজেরাই বাস পুড়িয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ডিসেম্বরে এমন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, যাতে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, রাজশাহীর এই লাখো জনতার সমাবেশ এখনকার বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সমাবেশের উত্তাল ঢেউ ঢাকায় পৌঁছাতে হবে। আজ মানুষের ঘরে চাল নেই, তেল নেই; বাচ্চার খাবার দুধ নেই। পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের সামনে এখন দুটি পথ, একটি তারেক জিয়ার মতো স্বাধীনতার পতাকা টাঙানো এবং অপরটি শাহাদাত বরণ। 

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঢাকার সমাবেশে বাধা দেয়া হলে ওইদিন সরকারের পতন হবে, এটা নিশ্চিত।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘সমাবেশের আগে বলেছিলাম, রাজশাহীর গণসমাবেশে সরকারকে হলুদ কার্ড দেখানো হবে। আজ হলুদ কার্ড দেখালাম, ইনশাল্লাহ ঢাকার সমাবেশে সরকারকে লাল কার্ড দেখানো হবে। যতই বাধা আসুক ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে আমরা সরকারকে লাল কার্ড দেখাতে চাই।’

দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টা থেকেই বক্তব্য শুরু করেন। আর সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল আসেন দুপুর ২টার পর।

এছাড়াও গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ, রাসিকের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ অন্য নেতারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ আলী ঈশা।