২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন


গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, মামলার পর হুমকিতে বাদী ও সাক্ষী
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১২-২০২২
গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, মামলার পর হুমকিতে বাদী ও সাক্ষী ফাইল ফটো


টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে উপজেলার বয়ড়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে হাসেম মিয়াকে আসামি করে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন আসামিপক্ষের লোকজন। গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূকে তাঁর প্রতিবেশী হাসেম মিয়া বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি গৃহবধূ তাঁর স্বামীকে জানানোর পর প্রতিবাদ করায় হাসেম আরো উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সুযোগের সন্ধানে থাকে সে। গত ১৬ আগস্ট গৃহবধূর স্বামী বের হওয়ার পর হাসেম গৃহবধূর ঘরে ঢুকে পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় বাঁচার জন্য চিৎকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি গৃহবধূর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সুস্থ হওয়ার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ বাদী হয়ে হাসেম মিয়াকে আসামি করে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী বলেন, মামলা করে চরম বিপদে পড়েছি। আমরা গরিব-অসহায় হওয়ায় আসামির স্বজনরা আমাদের নানা রকম হুমকি-ধমকি ও চাপ দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। সাক্ষীদেরকেও নানা ভয় দেখানো হচ্ছে। মামলাটি ভিন্ন খাতে নিতে আমাদের এবং সাক্ষীদের নামে আদালতে মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছে তারা। সুযোগ পেলেই আমাদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। বাসাইল থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করেছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

হাবলা ইউপি সদস্য রউফ মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও আসামিপক্ষ পরবর্তী সময়ে আমাদের কাছে আর আসেনি। আসামি হাসেমকে নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিস হয়েছে। লোকটা খারাপ প্রকৃতির।

বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, আমাদের কাছে তারা মামলা করতে আসেনি।