২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন


স্কুল ছাত্রীকে মারধর ও মানুষিক টর্চারের অভিযোগ, স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে
সুমাইয়া তাবাসুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১২-২০২২
স্কুল ছাত্রীকে মারধর ও মানুষিক টর্চারের অভিযোগ, স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে মারধর ও মানুষিক টর্চারের অভিযোগ, স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে


রাজশাহী মহানগরীর অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মারধর ও মানুষিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ ওঠেছে স্কুলের শিক্ষিকা শাহীনা এলাহী বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রবিবার (৪ ডিসেম্বর) ওই ছাত্রীকে মা সালমা আক্তার ইতি প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী আতিয়া সে ৩য় শ্রেণী থেকে স্কুলটিতে পড়াশোনা করছে। বরাবরই তার পরিক্ষার ফলাফল ও ভাল।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় স্কুলের বার্ষিক পরিক্ষা চলাকালে স্কুলের শিক্ষিকা শাহীনা এলাহী নকল করেছে বলে ছাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। এ সময় পরিক্ষায় অংশ গ্রহণকারী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়। তারপরও শিক্ষিকা ওই ছাত্রীকে হুমকি ধামকি দেন এবং চড়-থাপ্পড় মারেন। শুধু তাই নয় ছাত্রীকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাঁধা প্রদান করেন শিক্ষিকা। এর আগেও গত (২৮ নভেম্বর) ওই শিক্ষিকা একই ধরণের কান্ড করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে স্কুল ছাত্রীর স্বাভাবিক পড়ালেখায় ক্ষতি হয় এবং মানুষিক চাপে মধ্যে পড়ে ছাত্রী। 

ছাত্রীর মায়ের দাবি, শিক্ষিকা শাহীনা এলাহী আমার মেয়ের বিরুদ্ধে পরিক্ষার হলে বই নিয়ে প্রবেশের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। যাহা ডাহা মিথ্যা। এ ব্যপারে রবিবার (৪ ডিসেম্বর) ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রীর মা রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসে একটি অভিযোগ করেন। 

এ ব্যপারে সোমবার দুপুরে মুঠো ফোনে ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চাইলে। তিনি দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন। কথা বলার সময় নাই বলে ফোন কেটে দেন।

অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রীকে মোখিক ভাবে শাসন করা হয়েছিলো। 

সোমবার বেলা ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।