১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১০:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন


অনলাইন টিভির নামে কথিত সাংবাদিক তদবির আহমেদ খানের বিরুদ্ধে ব্যপক চাঁদাবাজির অভিযোগ
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১২-২০২২
অনলাইন টিভির নামে কথিত সাংবাদিক তদবির আহমেদ খানের বিরুদ্ধে ব্যপক চাঁদাবাজির অভিযোগ অনলাইন টিভির নামে কথিত সাংবাদিক তদবির আহমেদ খান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ


পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ি উপজেলার কথিত কথিত সাংবাদিক তদবির আহমেদ খানের বিরুদ্ধে স্বাধীন বাংলা টিভি অনলাইন নামে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও তথ্য মন্ত্রণালয় ঢাকা প্রায় একশত অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন দিয়েছেন। ইতিপূর্বে কয়েক হাজার নিউজ নিবন্ধনের জন্য আবেদনও রয়েছে। তবে স্বাধীন বাংলা নামের অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও স্বাধীন বাংলা নামের টিভি কোন নিবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঠবাড়িয়া উপজেলার কথিত সাংবাদিক তদবির আহমেদ খান । তিনি স্বাধীন বাংলার টিভি নামের এক অনলাইন নিউজ পোর্টালে বরিশাল বিভাগীয় ব‍্যুরো প্রধান হিসেবে কাজ কাজ করে আসছেন বলে দাবি করছেন।

স্বাধীন বাংলার টিভির পরিচয় দিয়ে বরিশালে বিভিন্ন উপজেলায় তদবির আহমেদ খান বেপরোয়া ভবে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন বলে একধিক সূত্রে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে যানা গেছে, গত (২৫ নভেম্বর) শুক্রবার প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা সেজে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১২ নং রঙ্গশ্রী বিরংঙ্গল গ্রামের আব্দুল কাদের শিকদারের বাড়ি যেয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন কথিত সাংবাদিক তকবির হোসেন খান। তিনি নিজেকে বড় স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন। শত বছর বয়সি বৃদ্ধা আব্দুল কাদের সিকদারকে তদবির আহমেদ খান বলেন, আমি ঢাকা থেকে আসছি আমার কাছে চারটি থানার ওয়ারেন্ট রয়েছে। আপনার ছোট ছেলের জন্য আমাকে এক লাখ টাকা দিতে বলেন। টাকা না দিলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে তাঁর।  প্রশাসনকে সাথে নিয়ে তাঁকে প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দেন এই কথিত সাংবাদিক। 

তিনি আরো বলেন, উর্ধতন বিভিন্ন লোকের সাথে আমার চলাফেরা আছে। তাই আমি ইচ্ছা করলেই অনেক কিছু করতে পারি । সবাই আমাকে চিনে জানে।  তার কথা শুনে বৃদ্ধা কাদের শিকদার বলেন, আমার ছেলেও সাংবাদিকতা করে। এরপর  কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খান নিজের পরিচয় গোপন করে গালাগালি হুমকি ধামকি দিয়ে চলে আসেন। পরে ৪নং ওয়ার্ড কাঁচা বাজার শ্যামপুরে বসে বেশকিছু লোকজন নিয়ে আব্দুল কাদের শিকদারের সাথে এলাকায় জমি জমা নিয়ে গ্রামগঞ্জের লোকের সাথে মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। তার প্রতিপক্ষের সাথে হাত মেলান কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খান। তার নামে মিথ্যা বক্তব্য ও ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার ছেলে সন্তানের নামে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।

এরপর (২৬ নভেম্বর) শনিবার সন্ধার পরে বয়স্ক আব্দুল কাদের শিকদারকে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার ছেলের ভালো চাইলে রবিবারের মধ্যে  আমার বিকাশে এক লাখ টাকা পাঠিয়ে দিতে বলবেন। নইলে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করব এবং জেল খাটাবো। প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দেন তিনি। 

এদিকে, আব্দুল কাদের সিকদারের ছোট ছেলে রনি শিকদার তিনি একজন মানবাধিকারের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের বাংলার অনলাইন নিউজ পোর্টাল সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খানকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, আপনার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে পাঁচটি ওয়ারেন্ট আছে। আপনি এক লাখ টাকা না দিলে আপনার কপালে দুঃখ  আছে বলে ফোন কেটে দেন।

এরপর (২৮ নভেম্বর) সোমবার কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খান সাংবাদিক রনি সিকদারের বড় ভাই ইব্রাহিম শিকদার মনিরকে ফোন দিয়ে বলেন , আপনার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমি ঢাকায় সাংবাদিকতা করি। আমি ইচ্ছ করলেই তার ক্ষতি করতে পারি। আপনি আপনার ভাইকে শেল্টার দিচ্ছেন এক লাখ টাকা দিতে বলেন, না হলে আপনার চাকরি চলে যাবে বলে হুমকি দেন কথিত সাংবাদিক তদবিদ হোসেন খান।

পরে বিষয়টি ইব্রাহিম সিকদার মনির  তার ছোট ভাইকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করেন। সাংবাদিক রনি শিকদার তিনি কথিত সাংবাদিক বলে অপপ্রচার করেন কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খান। তিনি সাংবাদিক রনির বিরুদ্ধে কিছু সাজানো লোকজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন।

পরিচয় জানতে চাইলে তিনি স্বাধীন বাংলা অনলাইন টিভি নামের এক প্রতিষ্ঠানের পরিচয় দেয় ওই প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান বলে দাবি করেন। তিনি বলেন , আমি বড় মাপের সাংবাদিক আমি অনেক কিছু করতে পারি। বরিশালের প্রেসক্লাব সেক্রেটারি জাকির ভাইয়ের নাম ভাঙ্গানো হয়েছে। বরিশালে বেশ কিছু জেলার উপজেলার ও কোতয়ালী সেকেন্ড অফিসার তাদের  নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা দাবি করেন তিনি।

এরপর ৩০ তারিখ বুধবার কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খান সাংবাদিক রনি শিকদারকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার অফিসে গিয়েছিলাম বরিশালে অফিসটা দেখতে অনেক সুন্দর। আপনার অফিসে আমি আপনার সাথে থাকতে চাই। আমার কাছে বিভিন্ন মানুষের দুর্নীতির ফাইল আছে। আমি স্বাধীন বাংলা টিভির প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান। দুই ভাই মিলে একসাথে কাজ করব। আমি একজন সাংবাদিক আরেকজন সাংবাদিকের দরদ বুঝি।  আপনার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ দিয়েছে, সবকিছু সত্য না। তিনি আরও বলেন , আপনার বিরুদ্ধে বরিশাল মেয়রের লোকজন খেপা। যে কোনো সময় আপনাকে মেরে ফেলতে পারে। আমি ঢাকা থেকে এসেছি। অনেক টাকা খরচ হয়েছে। যারা আমাকে এনেছে তারা কোন খরচ দেয়নি। আপনি আমাদেরকে কিছু খরচ দেন বিষয়টা আমার আপনার মধ্যেই থাকুক। কারো সাথে শেয়ার করার প্রয়োজন নাই (অডিও ভয়েস রেকর্ড প্রমাণসহ)।

অপরদিকে এ কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খান বিভিন্ন সাংবাদিক ও প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে বরিশালের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। কখনো প্রশাসন নাম ভাঙ্গাচ্ছে, কখনো বড় মাপের সাংবাদিক, কখনো স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সাংবাদিক, কখনোবা থানার সেকেন্ড অফিসার, কখনো প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি সভাপতি নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছে । তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মানুষকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করানো ও নাটক সাজিয়ে চাঁদা দাবি করানো ও নারী দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ বানিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খানের বিরুদ্ধে।

প্রশাসনের নাকের জায়গায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন এই কথিত সাংবাদিক তদবির হোসেন খান তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার অত্যাচার মা বোনদের কোন নিস্তার নাই। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক রনি শিকদারের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছেন তার পরিচয় গোপন রেখে প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। তার বিরুদ্ধে আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং প্রশাসনের উদ্বোধনের কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছি।

এ ব্যপারে পরিশোধ কোতালির মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।

বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে............