২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১১:৫৫ অপরাহ্ন


নরসিংদীতে জোড়া খুন : জুয়া নিয়ে দ্বন্দ্বেই হত্যা!
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১২-২০২২
নরসিংদীতে জোড়া খুন : জুয়া নিয়ে দ্বন্দ্বেই হত্যা! নরসিংদীতে জোড়া খুন : জুয়া নিয়ে দ্বন্দ্বেই হত্যা!


নরসিংদীর রায়পুরায় জোড়া খুন হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন (৪৫) ও শিবপুর উপজেলার পাহাড় ফুলদী এলাকার আব্দুল মন্নাফের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৫)। তারা দুজন পেশাদার জুয়াড়ি ছিলেন।

জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে দাবি নিহত আলী হোসেনে স্ত্রীর শিখা বেগমের।

জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার। তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।

শিখা বেগম বলেন, ‘পরনের কফি কালার শার্ট ও সাদা-কালো কালারের লুঙ্গি দেখে স্বামীর লাশ শনাক্ত করি। ’ এর আগে রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাকে ফোনে ডেকে নেয়। তারপর রাত পেরিয়ে সকাল হলেও বাড়ি ফেরেননি আলী হোসেন। গতকাল শেরপুরের একটি কলাবাগানে থেকে তার স্বামীসহ আরো এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, তার স্বামীর আরো এক স্ত্রী আছে। সতিন ও তিনি নরসিংদীর ঘোড়াশালে একটি কম্পানিতে চাকরি করেন। আলী হোসেনের জুয়া খেলার নেশা ছিল। এর আগে দুইবার জুয়া খেলার পাওনা টাকার জন্য তাকে আটক করেছিল লোকজন। জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তার স্ত্রী শিখা বেগমের।

এদিকে আজ সকালে রায়পুরা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্তের বিষয়টি জানান নিহত দ্বীন ইসলামের মা। তবে এ বিষয়ে জানতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, রবিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে আলী হোসেন ও দ্বীন ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার শেরপুর এলাকার একটি কলাবাগানে দুটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত দুজনের মুখ, মাথা, হাত ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মুখ থেঁতলে যাওয়ায় প্রথমে লাশ শনাক্ত করা যায়নি। পরে তাদের পরনের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করে স্বজনরা।