২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন


নির্যাতনের শিকার গর্ভবতী গৃহবধূর মামলা নিলেন না ওসি!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১২-২০২২
নির্যাতনের শিকার গর্ভবতী গৃহবধূর মামলা নিলেন না ওসি! নির্যাতনের শিকার গর্ভবতী গৃহবধূর মামলা নিলেন না ওসি!


স্বামীর নির্যাতনের শিকার গর্ভবতী গৃহবধূর মামলা না নিয়ে থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসির বিরিুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।

ভূক্তভোগী গৃহবধূ ফাহমিদা আফরিন বিন্তি (২৯), তিনি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহীন আলমের স্ত্রী। 

ভূক্তভোগী গৃহবধূ ফাহমিদা আফরিন বিন্তি জানায়, তিনি বর্তমানে ৫মাসের গর্ভবতি। এরই মধ্যে তার স্বামী শাহীন আলম দ্বিতৃয় বিবাহ্ করেছেন। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে প্রায় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতণ চালিয়ে আসছে তার স্বামী। 

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার গৃহবধূ বিন্তিকে ব্যপক শারীরিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী শাহীন। পরে গৃহবধূ তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চন্দ্রিমা থানায় যান। এ সময় থানার ওসি মোঃ এমরান আলী গৃহবধূকে দূর দূর করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন। বলেন, আদালতে গিয়ে মামলা করেন। এরপর গৃহবধূ বাড়ি ফিরে গেলে তার স্বামী পূণরায় নির্যাতণ চালায়। এক পর্যায়ে গৃহবধূর স্বামী তার পেটে লথি মারে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন গৃহবধূ। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি রামেকের ২৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গৃহবধূর ফুপাতো ভাইয়ের দাবি, নির্যাতনের শিকার হয়ে বিন্তি অভিযোগ দিতে যখন থানায় গিয়েছিলো। তখন যদি ওসি এমরান ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে দ্বিতৃয়বার নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে যেতে হতো না বিন্তিকে। তার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ওসিকেই দায়ি করেন গৃহবধূর ভাই।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে, চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলী অস্বিকার করে বলেন, থানায় কোন মহিলা আসেনি। পরে তিনি স্বিকার করে বলেন, হ্যাঁ একজন গৃহবধূ এসছিলেন। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম আদালতে মামলা করতে। কিন্তু পূণরায় তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এটা আমার জানা নাই। তবে থানায় আসলে মামলা নিবো।

অভিযোগ ওঠেছে, কোন ভূক্তভোগী থানায় গেলে মামলা না নিয়ে হয়রানি করেন ওসি এমরান আলী। বিভিন্ন রকম তাল-বাহানা করেন। হুজুর মৌলভীদের মতো হাদিস শোনান। আজও একই কাজ করেছেন তিনি। তাছাড়া তিনি একাই বক্তব্য দিতে পছন্দ করেন। অন্যের কথা শুনতে চান না। 

এর আগে পুস্পা নামের এক যুবতীকে মামলা না নিয়ে দীর্ঘ ২মাস ঘুরিয়েছিলেন। পরে থানায় ঘুরছে যুবতী, মামলা নিচ্ছেন না ওসি। শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে। সংবাদটি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে ওসি যুবতীকে থানায় ডেকে মামলা রুজু করেন এবং সেই রাতেই আসামী গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।  

তাছাড়াও সাংবাদিকদের প্রতি রয়েছে তার বাঁকাদৃষ্টি। সুযোগ পেলেই তিনি বিভিন্ন সাংবাদিকের নামে আবোল-তাবোল কথা বলেন ওসি চন্দ্রিমা।