২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১০:৪৬:১৭ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাংস ও মাছের দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১২-২০২২
রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাংস ও মাছের দাম রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাংস ও মাছের দাম


সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে খাশির মাংস ও নদীর মাছের দাম। এছাড়া সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ সপ্তাহে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০-৫০ টাকা বেশি ।

খাশির মাংস কিনতে আসা অসীম সরকার বলেন, কিছুদিন আগেও এরকমভাবে মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল তার পরে আবার মাঝে কমেছিল কিন্তু এ সপ্তাহে হঠাৎ আবার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের খাশির মাংস খাওয়া ছাড়তে হবে কারণ আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের এতো টাকা দিয়ে মাংস কিনে খাওয়া সম্ভবনা।

খাশির মাংস বিক্রেতা ইকবাল জানান, হাটে খাশির আমদানি নাই বললেই চলে। আর যেগুলো থাকছে বাইরের যেসব ক্রেতা আছে তারা বেশি দাম দিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে সে কারণে আমাদের দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে । আর সে কারনেই আমরা মাংসের দাম বেশি নিচ্ছি।

সপ্তাহের শেষ দিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ সপ্তাহে নদীর মাছ গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ১০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। ১০০ টাকা বেশিতে নদীর রিঠা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০, বাছা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০০ টাকা বেশি, ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০, ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে । এছাড়া অন্যান্য কার্প জাতীয় যেসব মাছ রয়েছে সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিনে স্থিতিশীল রয়েছে রাজশাহীর সবজির বাজার। পূর্বের মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে সকল প্রকার সবজি। শুধু মাত্র শসার দাম কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসপ্তাহে দাম বেড়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, পূর্বের মূল্যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০, করলা ৮০, শিম ৬০, মূলা ৩০, ফুলকপি ৩০, কাঁচামরিচ ৬০, পেঁয়াজ ৪০, টমেটো ৭০ এবং নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজিতে।

দাম কমে এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে। অপরিবর্তিত থেকে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা হালি এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা হালিতে। গরুর মাংশ গত সপ্তাহের মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া রাজশাহীর বাজারে মুদিপন্য সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।